আওয়ার ইসলাম: মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আসা অভিবাসীদের পায়ে গুলি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওভাল অফিসে গত মার্চে অনুষ্ঠিত এক সভায় ট্রাম্প সীমান্ত রক্ষীদের এ পরামর্শ দেন বলে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস।
‘বর্ডার ওয়ার্স ইনসাইড ট্রাম্প অ্যাসাল্ট অন ইমিগ্রেশন’ নামের একটি বই থেকে এ তথ্য তুলে ধরেছে পত্রিকাটি। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের ঢল থামানোর জন্য গত মার্চ মাসে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গত কয়েক মাসে ব্যাপক হারে বেড়েছে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ। জলে ভেসে আসা এল সালভেদরের এক অভিবাসী ও তার মেয়ের পানিতে ভেসে আসা নিথর মরদেহের ছবি ভাবিয়ে তোলে সবাইকে। সবার চোখের সামনে যেন ভেসে উঠেছে সিরীয় শিশু আয়লান কুর্দির নিথর দেহ।
চলতি সপ্তাহেই শিশুসহ আরও তিনজন অভিবাসন প্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছেন। আর এই মৃত্যুর মিছিলের জন্য ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকেই দায়ী করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে গিয়ে নিহত হয় ২৮৩ অভিবাসী প্রত্যাশী মানুষ। যার মধ্যে আছে নারী ও শিশুও।
মেক্সিকো থেকে আসা অভিবাসীদের ঠেকাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ট্রাম্প। কাঁটাতারের বৈদ্যুতিক বেড়া স্থাপন ছাড়াও সাপ ও কুমির ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম লক্ষ্য।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক মাইকেল শিয়ার ও জুলি ডেভিস যৌথভাবে এই বইটি লেখেন। সেখানে বেশ কয়েকজনের সাক্ষাতকার নেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়,চলতি বছর মার্চে সব অভিবাসন বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প।
বইটিতে দাবি করা হয়, সেনাদের ব্যক্তিগতভাবে বলেছিলেন যেন অভিবাসীদের পায়ে গুলি করে ঠেকানো হয়। তখন তাকে বলা হয়, বিষয়টি বৈধ হবেনা।
এরপর তিনি সীমান্তে জলাশয় তৈরির প্রস্তাব দেন যেখানে সাপ কিংবা কুমির থাকবে। এছাড়া বৈদ্যুতিক বেড়াও তৈরির প্রস্তাব দেন তিনি। ছিলো কাঁটাযুক্ত দেয়ালের পরিকল্পনাও।
তবে বইয়ের এমন লেখার ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। এর আগে ট্রাম্প অবশ্য প্রকাশ্যেই বলেছিলেন যেসব অভিবাসীরা পাথর ছুঁড়েন তাদের গুলি করা উচিত।
-এটি