শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


ভারতের সাথে সরকারের চুক্তি জনগণ কখনোই মানবে না: আল্লামা কাসেমী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, শনিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের সকল চাওয়া-পাওয়াকে পূরণ করা হয়েছে। দেশের জনগণ এসব চুক্তি কখনো মেনে নিবে না।

রোববার (৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জমিয়ত মহাসচিব বলেন, ভারতের সাথে নতুন এসব চুক্তির মাধ্যমে মূলত: স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর, নদীপথ, ফেনী নদীর পানি এবং জ্বালানী সঙ্কটে জর্জরিত বাংলাদেশের মূল্যবান প্রাকৃতিক গ্যাস ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

‘এছাড়াও এসব চুক্তির মাধ্যমে দেশের সার্বভৌম নিরাপত্তার কথা না ভেবে উপকূলীয় নজরদারির কথা বলে বাংলাদেশে ভারতকে রাডার স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। অথচ এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের অর্জনের খাতা একেবারেই শূন্য।’ বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তিনি।

আল্লামা কাসেমী বলেন, সরকার এ যাবত ভারতকে দুই সমুদ্র বন্দর দিল, ট্রানজিটের জন্য রাস্তা দিল, রেলপথ দিল, নদীপথ দিল, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস দিল, ফেনী নদীর পানি দিল, বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদ ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ করে দিল, লাখ লাখ ভারতীয়কে উচ্চপদের চাকুরিতে জায়গা করে দিল, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য পৃথক বিশেষ অর্থনৈতিক জোন করে দিল, বাংলাদেশে সমরাস্ত্র বেচার সুযোগ করে দিচ্ছে এবং বাংলাদেশী হত্যায় নিশ্চুপ থাকছে। কিন্তু কিছুই তো তারা ভারত থেকে আনতে পারলো না। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘ এক যুগ দৌড়ঝাপ করেও একফোঁটা পানি আনতে পারেনি। ভারতকে কৃতজ্ঞতা হিসেবে এই সরকারের আর কি কি দেওয়ার বাকী আছে, জনমনে এখন এটাই বড় প্রশ্ন উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যা বন্ধে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কোন জোরালো আওয়াজ তুলেনি। এনআরসি ইস্যুতে বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হলেও এই নিয়ে ভারতের সামান্য কোন বক্তব্যও আদায় করতে পারেনি। ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে শুকাচ্ছে, ডুবাচ্ছে; এসব নিয়ে সরকারের কোন মাথা ব্যথা নেই। বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে বসা রোহিঙ্গা সংকটে ভারতীয় সহযোগিতার স্পষ্ট কোন প্রতিশ্রুতি আদায় করতে পারেনি। অথচ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনস্বার্থকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে এই সরকার ভারত তুষ্টিতেই বিভোর হয়ে আছে।

জমিয়ত মহাসচিব বলেন, ভারত নিজেদের স্বার্থ ১৬ আনা বুঝে নিচ্ছে। আর সরকার বাংলাদেশের স্বার্থ একে একে বিসর্জন দিয়ে যাচ্ছে। এটা কী ধরনের বন্ধুত্ব? ভারতের সাথে সরকার কি কি চুক্তি করছে তা জানার অধিকার বাংলাদেশের জনগণের অবশ্যই রয়েছে। দেশের সংবিধান এই অধিকার দেশের জনগণকে দিয়েছে। আমরা ফেনী নদীর পানিসহ সকল দেশবিরোধী চুক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে চুক্তি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।- বিবৃতি

আরএম/


সম্পর্কিত খবর