শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


নানা অভিযোগে বৈধদেরও ফেরত পাঠাচ্ছে সৌদি আরব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আকামা ও ভিসার মেয়াদসহ প্রয়োজনীয় সব বৈধ কাগজ থাকার পরও সৌদি পুলিশ অন্তত ১২ হাজার বাংলাদেশিকে চলতি বছরে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বিষয়টি নিশ্চত করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশি কর্মীদের ধরে ধরে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। আগামী মাসে দুই দেশে জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে ইস্যুটি শক্তভাবে তুলে ধরবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশি কর্মীদের কেন ফেরত পাঠাচ্ছে সৌদি আরব- এমন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সে দেশের সরকারের অভিযোগ, তারা চাকরি না করে রাস্তায় হকারের কাজ করছে, সবজি বিক্রি করছে। সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ অভিযোগ ঠিক। তবে কর্মীরা বলছেন, তারা চুক্তি মেনেই চাকরি করছেন। তাদের এ দাবির সঙ্গে দ্বিমত করার সুযোগ কম।

নবনিযুক্ত প্রবাসীকল্যাণ সচিব মো. সেলিম রেজা বলেছেন, সৌদি থেকে কর্মীদের দেশে ফেরার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে রয়েছে। বৈধ কাগজধারী কোনো কর্মী যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।

২০১৭ সালে পাঁচ লাখ ৫১ হাজার ৩০৮ বাংলাদেশি কর্মী সৌদি যান। পরের বছরে যান দুই লাখ ৫৭ হাজার ৩১৭। চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত গিয়েছেন দুই লাখ ৩৪ হাজার ৭১ জন। ব্র্যাক মাইগ্রেশনের তথ্যানুযায়ী চলতি বছরে প্রায় ১২ হাজার কর্মী দেশটি থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আরও বহু কর্মী নিজ উদ্যোগে ফিরে এসেছেন। তাদের সংখ্যাটি অজানা।

ব্র্র্যাক মাইগ্রেশনের প্রধান শরিফুল হাসান বলেছেন, নানা কারণে কর্মীরা দেশে ফেরেন। কিন্তু সম্প্রতি যেসব কর্মী সৌদি থেকে ফেরত আসছেন, তাদের বিষয়টি আলাদা। অনেকেরই বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। অনেকে বিদেশ যাওয়ার খরচও তুলতে পারেন। কেন তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে, তার কারণ অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ