আওয়ার ইসলাম: রাজধানী ধানমন্ডির একটি বাড়িতে জোড়া খুনের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন গৃহকর্মী মোছা. সুরভী আক্তার নাহিদা (২২)। জবানবন্দিতে সে জানায়, দুই নারীকে সে একাই খুন করেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারী জবানবন্দি গ্রহণ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জবানবন্দিতে সুরভী জানায়, সে গার্মেন্টে কাজ করত। তার চাকরি চলে গেলে বাচ্চুর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। বাচ্চু তাকে ওই বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে নিয়ে যায়। কিন্তু ওই বাসায় যাওয়ার পর তাদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সে থাকতে চায়নি। সুরভী চলে যেতে চাইলে তাকে যেতেও দেয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একাই তাদের খুন করে বলে জানায় সে।
এর আগে, আসামি সুরভী স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক রবিউল আলম তা গ্রহণের আবেদন করে আদালতে তাকে হাজির করেন। এরপর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক জবানবন্দি গ্রহণ শেষে সুরভীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন এ তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, ১ নভেম্বর রাতে ধানমণ্ডির ২৮ নম্বর রোডের একটি ভবনের পঞ্চম তলা থেকে আফরোজা বেগম (৬৫) ও তার গৃহকর্মী দিতির (১৮) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৩ নভেম্বর নিহত আফরোজার মেয়ে দিলরুবা সুলতানা রুবা (৪২) ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন।
৫ নভেম্বর নাহিদাসহ মামলার ৫ আসামির ৫ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। রিমান্ডে থাকা বাকি আসামিরা হল- বাসার ম্যানেজার মুহা. গাউসুল আযম প্রিন্স (৪২), সিকিউরিটি গার্ড মুহা. নুরুজ্জামান (৪২), রুবার স্বামীর বডিগার্ড বাচ্চু (৩৪) ও ইলেকট্রিশিয়ান মুহা. বেলায়েত হোসেন (৩২)।
-এএ