আওয়ার ইসলাম: দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া জমিরীয়া পটিয়া মাদরাসার প্রবীণ উস্তায মাওলানা মীর খলিলুর রহমানের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় মাওলানা নিজামপুরী বলেন, মাওলানা মীর খলিলুর রহমান ১৯৫৩ ইংরেজিতে হাটহাজারী থানার মীরের খিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি মরহুম মীর মোজাহেরুল হকের সুযোগ্য সন্তান ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া জমিরিয়া পটিয়া মাদরাসার সাবেক পরিচালক শায়খুল আরব ওয়াল আজম হাজী ইউনুস রহ.এর জামাতা।
মাওলানা নিজামপুরী বলেন, মাওলানা খলিলুর রহমান এর সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। একাধিকবার তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। অনেকবার আমি পটিয়া মাদরাসাস্থ তাঁর বাসায় গিয়েছি। তিনি সর্বদা হাস্যমুখে কথা বলতেন। তিনি খোদা ভীরু ও তাকওয়ার এক অনন্য দৃষ্টান্ত ছিলেন।
তিনি সবসময় দ্বীনকে প্রাধান্য দিতেন। মাদরাসার হক, ছাত্রদের হক আদায়ে ছিলেন খুবই যত্নবান। দরস-তাদরীস ছিল তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সর্বদা খোদাভীরু, সৎ ও যোগ্য জাতি গঠনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন।
মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আমি হাটহাজারী মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ হওয়ার কথা শুনে তিনি আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, আমি অনেক দিন যাবত চেয়ে ছিলাম আপনি বড় কোন প্রতিষ্ঠানে খেদমত করুন। দোয়াও করেছিলাম যেন, আল্লাহ আপনাকে বড় কেন প্রতিষ্ঠানে খেদমতের সুযোগ করে দিন। তিনি আমাকে খুব বেশি মুহাব্বত করতেন। দেখা হলেই বুকে জড়িয়ে নিতেন। তিনি বড় মেহমান নাওয়াজ ছিলেন।
মাওলানা নিজামপুরী বলেন, তিনি দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ ছিলেন। আজ তিনি আমাদের এতিম করে মহান আল্লাহর দরবারে চেলে গেলেন।
তার মৃত্যুতে উম্মাহ একজন দরদী মানুষকে হারালেন। আমি মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। এবং মহান প্রভুর দরবারে দোয়া করি, আল্লাহ তাআলা তার সকল দীনি খেদমত কবুল করুন এবং জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান তাকে দান করুন।
-এটি