শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


নাগরিকত্ব আইন: জামিয়া মিল্লিয়ার ছাত্রদের উপর লাঠিচার্জ, আটক অর্ধশত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: ভারতের দিল্লির জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়ার শিক্ষার্থীদের নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয় বেশ কিছু শিক্ষার্থী।

গতকাল শুক্রবার দিল্লী পুলিশ বিক্ষোভ থামানোর জন্য বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারশেলসহ গুলি নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

উম্মিদ নিউজের বরাতে জানা যায়, অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (আইআইএসএ) এর শিক্ষার্থীরা নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলে তাদের উপর চড়াও হয় পুলিশ। ছাত্র-পুলিশ মুখোমুখি সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়, তাদের মধ্যে মিডিয়া কর্মীও ছিলো।

প্রতিবাদের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি বার্তা প্রচার হয়েছিল। বার্তায় শিক্ষার্থীদের চলমান পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বয়কট করতে বলা হয়।

সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের এই পদযাত্রায় স্থানীয়রাও যোগ দেয়, টিয়ারগ্যাস গুলির জবাব পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে তারা, এতে বেশকিছু শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যায়।

শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট নম্বর একের বাইরে রাখা ভারী ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করার নির্দেশ দেয়। প্রতিশোধ নিতে পুলিশ কর্মীদের দিকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে, পুলিমও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করতে বাধ্য হয়।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে, আটক সহপাঠীদের মুক্তি এবং পুলিশের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি যে তাদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা করা হবে না।

প্রাক্তন সংসদ সদস্য পারভেজ হাশমি বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, দিল্লি পুলিশকে আটককৃত সমস্ত বিক্ষোভকারীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাই। পুলিশদের বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা না করার জন্য আবেদন করেন তিনি। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের রোলব্যাকও অন্যতম দাবি ছিল তাদের।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষোভ থেকে প্রায় পঞ্চাশজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে। তাদের জৈতপুর ও বদরপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

একজন প্রবীণ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, প্রথমদিকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য ছোটখাটো শক্তি ব্যবহার করা হয়, তবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই লোকেরা হাতে পাথর নিয়ে ফিরে আসে। পাথর নিক্ষেপে আমাদের অনেক লোক আহত হয়, এজন্য আমরা তাদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হই।

তবে শিক্ষার্থীরা এ সহিংসতার জন্য পুলিশকে দোষ দেয়। তারা বলেন, প্রতিবাদকারীদের উপর বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ এবং টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করা হয়েছিল।

জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়ার ছাত্র মেহেরবান বলেন, পুলিশ আমাদের উপর আক্রমণ চালায়। টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করলে আমরা পাথর নিক্ষেপ করি।

উম্মিদ ডটকম থেকে আবদুল্লাহ তামিমের অনুবাদ

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ