শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


বিশ্ব ইজতেমাকে কীভাবে দেখছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম।।

আজ আখেরি মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। লক্ষ লক্ষ মুসলমানের কান্না জড়িত কণ্ঠে মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এ ইজতেমা। রাজধানী ঢাকার তুরাগ তীরে তিন দিনব্যাপী এ ইজতেমা শুরু হয়েছে গত শুক্রবার। ইজতেমার খবর বিশ্ব মিডিয়ায় ওঠে এসেছে নানানভাবে।

মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী গণমাধ্যম আরব নিউজ আজ আখেরি মুনাজাতের বিষয়ে লিড করেছে। তারা শিরোনাম করেছে মুসলিম বিশ্বের শান্তি কামনায় শেষ হলো বাংলাদেশের বিশ্ব ইজতেমা।

যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী গণমাধ্যম দ্যা ওয়াশিংটন পোস্ট শিরোনাম করেছে, মুসলিম বিশ্বের হেদায়াত কামনায় শেষ হলো বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মুসলিম জমায়েত।

চীনের গণমাধ্যম এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক শিরোনাম করেছে লক্ষ লক্ষ মানুষের কান্নায় শেষ হলো বাংলাদেশে মুসলিমদের ইজতেমা।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউয়র্ক ভিত্তিক প্রসিদ্ধ গণমাধ্যম শিরোনাম করেছে, মুসলিম বিশ্বের শান্তি কামনায় শেষ হলো বাংলাদেশের বিশ্ব ইজতেমা।

এভাবে প্রায় নামিদামি সব বিশ্ব মিডয়ায় ওঠে এসেছে বিশ্ব ইজতেমার খবর।  আরব নিউজ আরো লিখে, এ বিশ্ব ইজতেমা ১৯৪৯ সালে সুন্নি মুসলিম দায়িদের প্রচেষ্টায় শুরু হয়েছিলো। প্রতি বছর এ মৌসুমে লক্ষ লক্ষ মানুষ জমায়েত হয় এ ইজতেমায়। প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি দেশ থেকে মুসলিমরা জমায়েত হয় সেখানে।

উল্লেখ্য, তীব্র শীত উপেক্ষা করেই আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) লাখো মানুষ অংশ নিয়েছিলেন শুরায়ী নেজামের বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাতে। মুসলিম উম্মাহর সুদৃঢ় ঐক্য, দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি এবং দেশের কল্যাণ কামনা করা হয় মোনাজাতে।

মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করা হয়। লাখ লাখ মুসল্লির কণ্ঠে ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’, ধ্বনিতে মুখরিত হয় টঙ্গীর তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দান।

রোববার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাত শুরু হয়। এবারের মোনাজাত হয়েছে বাংলায়। পরিচালনা করেছেন কাকরাইল মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমেদ। এর আগে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে হেদায়তি বয়ান হয়।

কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে বাস, ট্রাক, ট্রেন, নৌকা-লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে হাজার হাজার মুসল্লি টঙ্গীতে জমায়েত হন। মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মুসল্লিদের আগমন অব্যাহত ছিল।

ইজতেমাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে অনেক মুসল্লি আখেরি মোনাজাতের জন্য খবরের কাগজ, পাটি, বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে সড়কে, অলি-গলিসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন।

মোনাজাতের সময় ইজতেমা ময়দান ও আশেপাশের এলাকায় নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। খানিক পর পর শুধু ভেসে আসে আমিন, ছুম্মা আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন ধ্বনি। আর মানুষের কান্নার আওয়াজে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় আকুতি জানান মুসল্লিরা।

মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করেন তারা।

নানা বয়সী বিভিন্ন পেশার মানুষ  বাসা-বাড়ি ও কারখানার ছাদ, নৌকা, বাসের ছাদ, ফুটওভার ব্রিজ-যে যেখানে পেরেছেন সেখানে বসেই দু’হাত তুলে মোনাজাতে অংশ নেন তারা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ