শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার

হজরত আবু আইয়ুব আনসারি রা. দাওয়াত দিতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে, সেখানেই তার কবর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আবু আইয়ুব আনসারি রা. (মৃত্যু ৬৭৪) ছিলেন মুহাম্মদ সা. এর একজন সাহাবি। তিনি বনু নাজ্জার গোত্রের সদস্য ছিলেন। আনসার সাহাবিদের মধ্যে তিনি অন্যতম। কনস্টান্টিনোপল অবরোধে তিনি অংশ নেন এবং অভিযান চলাকালীন তিনি শাহাদাত বরণ করেন।

মুহাম্মদ সা. মদিনায় হিজরত করার পর শহরের অধিবাসীরা সকলেই তাকে তাদের বাসায় অবস্থান নেয়ার অনুরোধ জানায়। সিদ্ধান্ত হয় যে নবীজির উটকে ছেড়ে দেয়া হবে এবং সেটি যেখানে বসবে সেখান থেকে নিকট বাসায় নবীজি অবস্থান নেবেন। উটটি আবু আইয়ুব আনসারির বাসার কাছে মাটিতে বসে পড়ে। তাই এখানে নবীজি অবস্থান নেন।

[caption id="" align="aligncenter" width="640"] হজরত আবু আইয়ুব আনসারি রা. এর মাজার মসজিদের খতিবের সঙ্গে বাংলাদেশি পর্যটক জিয়াউল করিম[/caption]

মুসলিমরা মিশর জয় করার পর আবু আইয়ুব আনসারি ফুসতাতে চলে আসেন এবং আমর ইবনুল আস মসজিদের পাশে বাড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করেন। তার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশিদের মধ্যে ছিলেন যুবাইর ইবনুল আওয়াম, উবাইদা, আবু যর, আবদুল্লাহ ইবনে উমর ও আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস।

সামরিক ক্ষেত্রে আবু আইয়ুব আনসারি কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। তার ব্যাপারে বলা হয়, মুহাম্মদ সা. এর সময় থেকে মুয়াবিয়ার সময় পর্যন্ত মুসলিমদের এমন কোনো যুদ্ধে নেই যাতে তিনি অংশ নেননি, যদি না তিনি অন্য কোনো যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকতেন।

চতুর্থ খলিফা আলি ইবনে আবি তালিবের সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে শিয়ারা আবু আইয়ুব আনসারিকে সম্মানিত বলে বিবেচিত করে। তিনি আলির পক্ষে সিফফিনের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

আবু আইয়ুব আনসারি কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের জন্য প্রেরিত অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। এসময় তিনি বার্ধক্যে উপনীত হলেও বাহিনীর সাথে অভিযানে যান। যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি তার সঙ্গীদের বলেন যাতে তাকে শত্রু সীমানার যত ভেতরে পারা যায় তত ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়।

কনস্টান্টিপোলের দেয়ালের কাছে তাকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুর পর মুসলিম সৈনিকরা তার ইচ্ছাপূরণ করে। বর্ণিত আছে রোমানরা তার কবরকে সম্মান করত এবং খরার সময় এর ওসীলা নিয়ে বৃষ্টি কামনা করত।

কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের পর সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের উপদেষ্টা সুফি আলেম আকশামসউদ্দিন আধ্যাত্মিক শক্তিবলে তার কবর খুজে বের করেন এবং উসমানীয়রা তার কবরের উপর মাজার নির্মাণ করে। তার সম্মানে কবরের পাশে মসজিদও নির্মাণ করা হয়। এর পর থেকে স্থানটি তার নামে পরিচিতি পায়। পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হওয়ার অনেক উসমানীয় কর্তাব্যক্তি সেখানে দাফন হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করতেন। এখনও অগণিত মানুষ তার কবর যিয়ারত ও দর্শনে আসেন।

২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া ফেতিহ ১৪৫৩ নামক তুর্কি চলচ্চিত্রে আবু আইয়ুব আনসারিকে একটি চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়েছে।
সূত্র: উইুকিপিডিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ