আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিসিএস) পরীক্ষায় প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বিসিএসএ’র বয়স, যোগ্যতা ও চাকরির আবেদনের ‘বিধিমালা ২০১৪’ এর ১৪ বিধি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
ফরিদপুরের মধুখালীর বিজিত সরকারসহ ছয় জনের করা রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়া হয়। রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪ এর ১৪(১) ধারায় বলা হয়েছে, কমিশন কর্তৃক যে মাসে বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞাপন জারি করা হইবে উক্ত মাসের প্রথম তারিখে কোনো প্রার্থীর বয়স ২১ বৎসরের নিম্নে বা ৩০ বৎসরের ঊর্ধ্বে হইলে তিনি উক্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না।
‘অপরদিকে ত্রয়োদশ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষা-২০১৯ এর বিজ্ঞপ্তির ৪ নম্বর কলামে বলা হয়, প্রার্থীর বয়স অনধিক ৩২ বছর। প্রার্থীর বয়স বেশি হলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না’।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার আলতাফ হোসেন বলেন, জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় বয়সসীমা ৩২ বছর। অথচ বিসিএস-এ ৩০ বছর। এটা সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ থাকবে।
-এএ