শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

ঢাকার ১০% এলাকা ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রাজধানী ঢাকায় অন্তত ১০ শতাংশ এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রায় ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে মানুষের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগও বেশি।

গত ডিসেম্বরে পরিচালিত বর্ষা পরবর্তী জরিপে উঠে আসা প্রতিবেদনের এই চিত্র রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক কর্মশালায় তুলে ধরা হয়।

গবেষণা মোতাবেক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২, ১৬, ২৮, ৩১ ও ১ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫, ৬, ১১, ১৭, ৩৭ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ঝুকিপূর্ণ মাত্রায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একেএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগের চেয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ২০১৮ সালে বর্ষা পরবর্তী সমীক্ষা করা হয়নি। তবে ২০১৭ সালের হিসাব থেকে এবার এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি কম। এ ছাড়া শহরে মশার উপস্থিতি ও যেসব জায়গা ঝুকিপূর্ণ যেখানে লার্ভার উপস্থিতিও কম।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে এবার মশার প্রজনন উৎসে নজর দেয়া হয়েছে। এক জায়গায় বেশি দিন পানি জমতে দেয়া হয়নি। তবে নগরবাসীর আরও সহযোগিতা থাকলে ফলাফল অনেক ভালো হতো।

তিনি আরও বলেন, শহরের যেখানে নির্মাণ কার্যক্রম চলছে সেখানে মশা ও লার্ভার উৎপাত বেশি। যদি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নজর দেয় তাহলে মশার উপদ্রব আরো লাঘব হবে।

চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে থাকবে এমন আশ্বাস দিয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ার পর থেকেই তারা সচেতনমূলক নানা কার্যক্রম করে আসছেন। প্রকাশিত জরিপের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করায় মশা ও লার্ভা নিধন সহজ হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা, রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহলীনা ফেরদৌসী, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন, ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক বেনজির আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ