আওয়ার ইসলাম: করোনা ভাইরাস রোধে সাধারণ ছুটির মধ্যেই আগামী রোববার থেকে দেশের জিপিও ও প্রধান ডাকঘর তিন ঘণ্টা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৫ এপ্রিল রোববার থেকে সব জিপিও ও প্রধান ডাকঘর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে।
এসব ডাকঘর থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের লেনদেনের পাশাপাশি সীমিত আকারে ই-কমার্স, মোবাইল মানি অর্ডার এবং পার্সেল সেবার কাউন্টার খোলা থাকবে।
গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সব ধরনের অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ছুটি শুরুর পর জরুরি সেবাগুলো চালু রাখা হলেও ডাকঘরের সেবা বন্ধ ছিল।
এই পরিস্থিতিতে রবিবার থেকে সীমিত আকারে সেবা চালুর কথা জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ছুটিকালীন সময়ে জনস্বার্থে ডাকসেবা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে’ ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এই নির্দেশনা দিয়েছেন।
মেট্রোপলিটন শহরগুলোর সাব পোস্টঅফিসও রোববার থেকে সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে। কোন কোন পোস্টঅফিস খোলা থাকবে তা পোস্টমাস্টার জেনারেলরা ঠিক করে দেবেন। জেলা পর্যায়ে জরুরি ডাক পরিবহন সেবা দিতে বিশেষ ব্যবস্থায় কেবল দিনের বেলায় ডাক বিভাগের নিজস্ব গাড়ি চালানো হবে।
উপজেলা পর্যায়ে মেইল পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্ট পোস্টমাস্টার জেনারেল বা ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলদের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
নগদ টাকা ও ট্রেজারি লেনদেনের জন্য ‘উপযুক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে’ ডাক বিভাগের নিজস্ব পরিবহন সীমিত পরিসরে চলাচল করবে। ই-কমার্স ও পার্সেলের ক্ষেত্রে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ব্যবহৃত সামগ্রী অগ্রাধিকার পাবে।
ঘরে ঘরে কোনো পার্সেল বিতরণ করা হবে না, গ্রাহককে তা বিতরণকারী ডাকঘর থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে। ডাকঘরের সব কর্মীকে এই সময় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে।
-এএ