শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


মানেবতর জীবন যাপন করছে মুক্তাগাছার প্রায় ১ হাজার কওমি শিক্ষক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আল আমীন সাদীক
মুক্তাগাছা থেকে>

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে গত চার মাস যাবত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম অললাইনে চালু থাকলেও,মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম একদম বন্ধ।একারনে মাদ্রাসাগুলো যেমন আর্থিক সংকটে পরছে, শিক্ষক শিক্ষিকাগন তারাও অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যয়ের মুখে,এই অবস্তায় অনেক মাদ্রাসা বন্ধও হয়ে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় মুক্তাগাছার অনেক মাদ্রাসা শিক্ষক গত চার মাস যাবত বেতন ভাতা না পাওয়ার কারনে পরিবারের চাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন পেশা বেছে নিচ্ছেন,অনেকে আবার খোর্ধ ব‍্যবসাও শুরু করেছেন।

এই বিষয়ে কথা হয়, ইত্তেফাকুল হুফফাজ মুক্তাগাছার সভাপতি,হাফেজ মাওলানা আবু তাহের সাহেব এর সাথে তিনি বলেন করোনা মহামারীর কারনে সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কওমী মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকগণ, বিশেষ করে হিফজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের চর্চা না থাকার কারনে ভুলতে শুরু করছে,আবার তাদের প্রথম থেকে শুরু করতে হবে,এই ক্ষতি পূরণ হবার নয়।

তিনি আরো বলেন,সাস্থ্যবিদি মেনে যদি অফিস আদালত শিল্প কারখানা ও গার্মেন্টস খোলা থাকতে পারে,তাহলে মাদ্রাসাগুলো বন্ধ রাখার কোন যক্তিকতা নেই,কারন মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা সর্বোচ্চ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি সাস্থ্যবিদি মেনে মসজিদ যেভাবে নামাজের জন্য উন্মক্ত করা হয়েছে,তেমনিভাবে সাস্থ্যবিদি মেনে মাদ্রাসা গুলো কোরবানি ঈদের আগেই খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

কথা হয় মাদ্রাসাতুল মদিনা দাওরায়ে হাদীস মহিলা মাদ্রাসার মুহ্তামীম মাওলানা ইকবাল সাহেব এর সাথে, তিনি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন আগামী কোরবানি ঈদের আগে কওমী মাদ্রাসাগুলো খুলে দিয়ে আমলি পরিবেশ সৃষ্টি করে,করোনা মহামারী থেকে পরির্তানের জন্য আল্লাহ্ তা'আলার সন্তষ্টি অর্জন করতে পারি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর