বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


দোষ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ ৭ বছর সাজা হতে পারে শাহেদের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: করোনাকালীন সময়েও চিকিৎসার নামে প্রতারণা করা ঢাকার বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে র‌্যাব।

আদালতে অপরাধ প্রমাণ হলে দণ্ডবিধির ৪৬৮ অনুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ সাত বছরের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে। সেইসঙ্গে জরিমানাও হতে পারে। ধারাটিতে শুধু অর্থদণ্ডের কথা উল্লেখ নেই। অভিযোগ প্রমাণ হলে শারীরিক সাজাও খাটতে হবে বলে উল্লেখ রয়েছে।

তবে মামলার অন্য ধারাগুলোর শাস্তি কিছুটা কম। সেগুলোতে শারীরিক শাস্তির আদেশ বাধ্যতামূলক নয়। এর মধ্যে ৪০৬ নম্বর ধারায় বিশ্বাসভঙ্গের সাজা হচ্ছে সর্বোচ্চ তিন বছর। যেকোনো মেয়াদের সশ্রম অথবা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানা অথবা শুধু অর্থদণ্ড হতে পারে।

৪১৭ নম্বর ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর। যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা শুধু জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের কথা বলা হয়েছে। আবার ধারাটিতে শুধু অর্থদণ্ডও হতে পারে। ৪৬৫ নম্বর ধারাটির অভিযোগ শুধু জালিয়াতির। এতে সর্বোচ্চ দুই বৎসর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম অথবা বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড অথবা শুধু অথর্দণ্ড হতে পারে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হাসপাতালটিতে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের নমুনা টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে প্রতারণা, বিশ্বাস ভঙ্গ, জাল-জালিয়াতি, ভুয়া রিপোর্ট তৈরি, ভুয়া রিপোর্টকে খাঁটি বলে চালিয়ে দেয়া এবং কোভিড-১৯ রোগ সংক্রমণের বিস্তারে ভূমিকা রাখার অপরাধ করেছে এসব আসামি।

এদিকে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মুহা. শাহেদ পলাতক থাকলেও ইতোমধ্যে আটজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আর বাকি একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাকে গাজীপুরের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ