বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


ডলারের ব্যবসা করার বিধান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ডলাররেদওয়ানুল হক : আমার একটা প্রশ্ন আপনাদের কাছে। আমি জানতে চাই। আমি ডলার কিনলাম যখন ডলারের দাম কম এবং কিছু দিন পরে যখন ডলারের দাম বেড়ে যায় তখন আমি তা বিক্রি করে দেই। এই যে ডলার কেনা আর বিক্রি করার এই ব্যবসা কি ইসলামের দিক দিয়ে হালাল এবং হারাম।

বি:দ্র: এই সব কারেন্সি এর দাম বারে অথবা কমে যে সব বিষয়ের উপর তা হল একটা দেশের সার্বিক উন্নয়ন, সুদ, মুদ্রাস্ফিতি, কি পরিমাণ স্বর্ণ জমা আছে তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন আমার কথা হল আমি যদি ডলার কেনা বেছার এই ব্যবসা করি এইটা কি ইসলামের দিক দিয়ে হালাল অথবা হারাম?

আমাকে কোরান ও হাদিসের আলোকে জানালে আমার খুব উপকার হবে।
উত্তর : কারেন্সি ব্যবসা কি জায়েজ? এক্ষেত্রে বিষয় হল ২টি। যথা- ১. এক দেশের কারেন্সির বিনিময়ে আরেক দেশের কারেন্সি কমবেশি করে ক্রয় বিক্রয় বৈধ কি না? ২. একই দেশের কারেন্সি কমবেশি করে ক্রয় বিক্রয় করা জায়েজ কি না?

ভিন্ন দেশের কারেন্সির লেনদেন

এক দেশের কারেন্সি আরেক দেশের কারেন্সির বিনিময়ে কমবেশি করে বিক্রি করা জায়েজ আছে। তবে এক্ষেত্রে বৈঠকেই কমপক্ষে একপক্ষ টাকাটি হস্তগত করে নিতে হবে। যদি একজনও তাদের বিনিময়কৃত কারেন্সি হস্তগত না করে তাহলে ক্রয় বিক্রয়টি জায়েজ হবে না।

যেমন ডলারের বিনিময়ে বাংলাদেশি টাকা বিক্রি করছে। এ ক্ষেত্রে যিনি ডলার কিনল তিনি ক্রয় বিক্রয়ের বৈঠকেই ডলার হস্তগত করে নিবে। বা যিনি টাকা কিনল তিনি উক্ত বৈঠকেই টাকা হস্তগত করে নিবে।

যদি উভয়েই তাদের ক্রয়কৃত কারেন্সি হস্তগত করে নেয়, তাহলেতো উত্তম। কিন্তু কমপক্ষে একজনও হস্তগত করা শর্ত। আর যদি দুইজনের কেউই হস্তগত না করে, বরং পুরোটাই বাকিতে থাকে, তাহলে উক্ত ক্রয় বিক্রয় জায়েজ হয় না।

এক দেশের কারেন্সির পরস্পর লেনদেন

একই দেশের কারেন্সির পরস্পর লেনদেনের সময় সমতা রক্ষা করা আবশ্যক। কমবেশি করে বিক্রি করলে উক্ত ক্রয় বিক্রয় জায়েজ হবে না।

যেমন আমেরিকান ডলারের বিনিময়ে যদি আমেরিকান ডলারই বিক্রি করে, তাহলে কমবেশি করে বিক্রি করলে তা জায়েজ হবে না। সমান সমান হলে জায়েজ হবে।

অর্থাৎ দশ ডলারের বিনিময়ে দশ ডলারই বিক্রি লেনদেন করতে পারবে। এর চেয়ে কমবেশিতে ক্রয় বিক্রয় জায়েজ হবে না।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ