সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
৫ই মে ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবস: আমাদের চোখ খুলবে কবে? স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ ‘২৫ মার্চের কালরাতকেও হার মানিয়েছে শাপলা চত্বরের গণহত্যা’ কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিতে হবে : স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন সংক্ষুব্ধ মুফতি ফয়জুল করীম, আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা মেয়র পদ নিয়ে মুফতি ফয়জুল করীমের মামলা খারিজ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: নিহত-১, আহত-৪০ চট্টগ্রামে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ ৫ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ

মাওলানা আবদুল জব্বার রহ. বেফাককে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

img_20161201_171545_818মোস্তফা ওয়াদুদ: রাজধানীর প্রেসক্লাবে অনলাইন নিউজ পোর্টাল আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম এর আয়োজনে বেফাক মহাসচিব মাওলানা আব্দুল জব্বার জাহানাবাদী রহ. এর স্মরণে স্মরণসভা চলছে।

সম্পাদক হুমায়ুন আইয়ুব এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন, মালিবাগ জামিয়ার মুহতামীম মাওলানা আশরাফ আলী, রাহমানিয়ার মোহতামীম মাওলানা মাহফুজুল হক, ফরিদাবা মাদরাসার মুহতামীম, বর্তমান বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসের প্রতিনিধি মুফতি ইমাদুদ্দীনসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানে বিষেশ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ বলেন, মাওলানা আব্দুল জব্বার নিজেই ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি একাই বেফাককে লালন করেছেন। তুলে এনেছেন এ পর্যন্ত।

মাওলানা শহিদুল ইসলাম ফারুকী বলেন, আমার গ্রামের বাড়ির মাদরাসায় মাওলানা আব্দুল জব্বার জাহানাবাদী রহ. প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছিলেন, শুধু মিছিল মিটিং দিয়ে সমাজ পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। বরং তৃণমুল পর্যায়ে আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি তখন ডাক দিয়েছিলেন, এবারের সংগ্রাম, বাংলার আনাচে কানাচে মক্তব-মসজিদ প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম। সেই সংগ্রাম নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে

ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ বলেন, কর্মী মানে হলো যে কাজ করতে জানে। তিনি শুধু একটি শব্দই জানেন আমার বেফাক। এটাই আমার তাজ। এচাই আমার বিছানা। ফরিদাবাদ মাদরাসায় একটি চেয়ার, ভাঙ্গা চমটেবিল, ভাঙ্গা চেয়ার
দিনচি বস্তু মিলে হলো কেফাক।

ফরিদাবাদদ তখন টিনের ঘর। আমাে উস্তাদ মাওলানা আশরাফ আলী সাহেব তখন সেখানে ছিলেন। আজ বেফাক অনেক কিছুর মালিক। সম্পদের মালিক। জমির মালিক। যার পিছনের কোনো টান ছিলোনা। কোনো টেনশন ছিলনা।

তিনি একসময় জমিয়ত করতেন। বেফাকরর জন্য রাজনীতিও বাদ দিয়ে দিলেন। বেফাকের কাজ করে করে জিন্দেগী পার করেছে

এ পর্যন্ত প্রায় তিনজন সভাপতি ইন্তেকাল করেছেন। মাওলানা হারুণ ইসলামাবাদী, নূরুদ্দিন গওহারপুরী ও বর্তমানে শাহ আহমদ শফির যুগ চলছে। এরর মাঝে দীর্ঘ একটি সময় পর্যন্ত বেফাকের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। বেফাকের দীর্ঘ ৩৮ বছরে তিনি বরফাককে নিজের মতো করে নিয়েছিলেন।

আমি আওয়ার ইসলামকে ধন্যবাদ জানাই। তারা এতোবড়ো বিশাল একজন মানুষের জন্য সবার আগে স্মরণসভা করেছেন। অথচ উচিত ছিলো তার জন্য বৃহৎ আকারে স্মরণসভা করা।

বেফাকের মহাসচিবের সাথে আমার অনেক স্মৃতি। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড করেছিলাম। এর সাথে একটি লিয়াজো কমিটি করার জন্য বেফাকের সাথে আমরা বৈঠক করেছিলাম। তখন তাে সাথে অনেক বৈঠক হয়েছে। তার সাখে মাঝে মাঝে রাগ করলেও তিনি কিছু বলতেন না। তিনি কথা বলতেন কম। কাজ করতেন বেশি।

আরআর

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ