শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


অবশেষে কনকর্ডের ১৮ তলা ভবন পাচ্ছে সলিমুল্লাহ এতিমখানা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার জায়গায় আবাসন প্রতিষ্ঠান কনকর্ডের তৈরি ১৮ তলা ভবন এতিমখানাকে বুঝিয়ে দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (১২ মার্চ) সকালে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে কনকর্ডের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। এতিমখানার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ ওয়াই মশিউজ্জামান ও ব্যারিস্টার অনিক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

পরে ব্যারিস্টার অনিক আর হক বলেন, আবাসন প্রতিষ্ঠান কনকর্ডের লিভ টু আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় যত দ্রুত সম্ভব এতিমখানাকে ওই ভবন বুঝিয়ে দিতে হবে।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে জারি করা এক রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার জায়গায় আবাসন প্রতিষ্ঠান কনকর্ডের তৈরি ১৮ তলা ভবন এতিমখানাকে হস্তান্তরের আদেশ দেন। একইসঙ্গে চার দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।

রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ১৯০৯ সালে ঢাকার নবাব ‘সলিমুল্লাহ এতিমখানা’ স্থাপন করে এবং পরবর্তী সরকারের কাছ থেকে আজিমপুর সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন সময় জমি লিজ নিয়ে পরিচালনা করে আসছে।

গত ২০০৩ সালের ২২ জুলাই এতিমখানার সভাপতি শামসুন্নাহার ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জি এ খান আহসান উল্লাহ এতিমখানার দুই বিঘা জমি ডেভলাপার কোম্পানি কনকর্ডের কাছে হস্তান্তর করেন ।

এতিমখানার সম্পত্তি অবৈধ হস্তান্তর সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ পায়। পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর তা সংযুক্ত করে চারজন ছাত্রের পক্ষে রিট পিটিশন দায়ের করেন মনজিল মোরসেদ।

পরবর্তীতে উক্ত রিট পিটিশনে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) পক্ষভুক্ত হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, এতিমখানার সম্পত্তি সরকারে কাছ থেকে লিজ নেওয়া এবং লিজ চুক্তিতে এতিমখানার সম্প্রসারণের জন্য বিনামূল্যে দেওয়া হয় এবং শর্ত ছিল প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন ব্যাতীত অন্য কোনো কাজে জমি ব্যবহার করা যাবে না।

তা সত্বেও এতিমখানার সভাপতি ও সেক্রেটারি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আর্থিক লাভবান হয়ে এতিমখানার সম্পত্তি কনকর্ড গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ