মুজাহিদুল ইসলাম: মানবতার ও ভালোবাসার জয়ের গল্প রচিত হলো তুরস্কের এক হাসপাতালে।
ষাট বছর বয়সী এক তুর্কি নাগরিক তার সাবেক স্ত্রী নাবাহাত কাওসান (৬৪) সম্পর্কে যখন জানতে পারলেন, তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত। তখন পনের বছর পূর্বে তালাকপ্রাপ্তা এ স্ত্রীকে হাসপাতালে গিয়ে পূণরায় বিয়ে করেন।
স্বামী কোসা তুরস্কের হুরিয়াত পত্রিকাকে বলেন, ‘তার সাথে আমার কাটানো সোনালি সময়ের
কথা আমার খুব মনে পড়ে; কয়েক বছর আগে যখন আমার হার্ট অপারেশন হয়, তখন সে আমার অনেক সেবা করেছিল। তাই তাকে হাসপাতালে দেখতে যাই আর ওখানে গিয়েই তাকে আবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেই।’
কোসা আরো বলেন, ‘তাকে সুখী করার জন্য আমার যা করা সম্ভব তা আমি করবো, তার হাত
ধরে থাকবো এমনকি প্রয়োজনে জীবনভর হাসপাতালে আমার জীবনসঙ্গীনীর সাথে থাকবো’।
অন্যদিকে স্ত্রী বলেন, ‘আমি আরেকবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি আমার স্বামীর সাথে
সুখময় জীবন যাপনের জন্য হাসপাতাল থেকে বের হবো, আমি খুব খুশী। কারণ, নতুন করে আমি আমার সঙ্গীকে পেয়েছি, সে কোমল মনের মানুষ’।
পত্রিকা আরো উল্লেখ করে, হাসপাতালেই বরকনের আত্নীয়সজন, ডাক্তার ও এলাকার গণ্যমান্য
ব্যক্তিদের উপস্হিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
তুর্কপ্রেস থেকে মুজাহিদুল ইসলামের অনুবাদ
-আরআর