বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


নুরানি শিক্ষার পথিকৃৎ কারী মাওলানা রহমতুল্লাহ'র ইন্তেকাল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাহমুদুল হাসান : নুরানী পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম প্রাণপুরুষ কিশোরগঞ্জ জামেয়া নূরানিয়া তারাপশার প্রতিষ্ঠাতা ও মুহতামিম রঈসুল মুআল্লিম কারী মাওলানা রহমতুল্লাহ আজ রাত ১ টা ৩৮ মিনিটে ঢাকার আগারগাঁও নিওরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

কারী মাওলানা রহমতুল্লাহ সোমবার হঠাৎ করেই ব্রেইনস্টোক করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকায় আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আগারগাঁও নিওরো সায়েন্স হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

মরহুমের জানাজা আজ দুপুর ২টায় কিশোরগঞ্জ জামেয়া নূরানিয়া তারাপশা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়।
মৃত্যুর সময় তিনি দুই ছেলে ও চার মেয়েসহ অসংখ্য ছাত্র, ভক্ত ও গুমগ্রাহী রেখে যান।

কারী মাওলানা রহমতুল্লাহ নুরানী পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষা প্রসারের জন্য বাংলাদেশে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় হলেও তিনি কিশোরগঞ্জে ১৯৮২ সালে জামিয়া নুরানিয়া তারাপাশা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এখানে দাওরা ও উলুমুল হাদিসসহ কওমি মাদরাসার সব জামাতে পাঠদান করা হয়।

তিনি বাংলাদেশে নূরানি পদ্ধতির আবিষ্কারক শাইখুল কুররা কারী বেলায়েত হোসাইন রহ. এর আপন চাচতো ভাই এবং অন্যতম শিষ্য।

কিশোরগঞ্জে মাদরাসা ছাড়াও ঢাকার মোহাম্মদপুর সাতমসজিদের পাশেই ১৯৮৪ সালে তিনি নূরানি মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্স খোলেন। যেখানে সারা বছর কুরআন প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে। এর আওতায় সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে।

১৯৬৫ সালে কারী মাওলানা রহমতুল্লাহ লালবাগের জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া থেকে দাওরায়ে হাদিস পাস করেন। জামিয়া নুরিয়া কামরাঙ্গিরচরে শিক্ষকতার মাধ্যমে তার অধ্যাপনার জীবন শুরু। এরপর সদর সাহেব রহ. এর আবেদনে তিনি চলে যান গহরডাঙ্গায়। সেখানে হাদিসের কিতাবগুলো দরস দেন।

স্বাধীনতার পর মাওলানা কারী বেলায়েত হোসাইন রহ. এর সঙ্গে যৌথ ভাবে নূরানি শিক্ষার প্রসারে কাজ শুরু করেন।

বাংলাদেশে দীনের অন্যতম এ খাদেমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার ছেলে মাওলানা আবুল বাশার।

ব্রেইনস্টেক করে হাসপাতালে কারী মাওলানা রহমতুল্লাহ

এসএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ