শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


হাফেজ মোশারফের মুফতি হবার স্বপ্ন কেড়ে নিল বেপরোয়া বাস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মুফতি হবার স্বপ্নপূরণ হলো না সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হাফেজ মোশারফের। নিহত মোশারফের মা মেহের খাতুন বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল ছোট ছেলেকে মুফতি বানাব। সেই স্বপ্ন আমার পূরণ হলো না। অকালে ঝড়ে গেল আমার আদরের ছোট ছেলেটি।’

বুধবার দুপুরে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে বাসচাপায় নিহত হয় মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফেজ মো. মোশারফ হোসেন। সে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জোয়ারিয়া গ্রামের মো. আব্দুল মালেকের ছেলে।

হাফেজ মোশারফ পাশের উপজেলা কুলিয়ারচরের আগরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার জামিয়া মাদানিয়া ইসলামিয়ার নাহভেমির জামাতে পড়ালেখা করছিলো। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সে ৪র্থ এবং ভাইদের মধ্যে সবার ছোট।

জামিয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া আগরপুর মাদরাসার নাজেমে তালিমাত (শিক্ষা সচিব)মুফতি মনির হোসেন আল হাবেবী বলেন, মোশারফ অামাদের মাদ্রাসার একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন । সে এবছর নাহভেমীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ বেফাক বোর্ডে শ্রেষ্ঠ হবে এমন আশা ছিল। এ স্বপ্ন অার পূরণ হলো না। তিনি বেপোরোয়া গাড়ী চালকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তা আর নয়-  ক্লিক 

নিহতের বড় ভাই মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা মাহমুদুল হাসান মঞ্জিল বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মাদরাসায় শোক দিবস পালন শেষে সিএনজি অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফেরার পথে আমার ছোট ভাই হাফেজ মোশারফ হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়।

তিনি আরো বলেন, আর যেন কেউ আমার মতো আদরের ভাইকে না হারায়।

উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট বুধবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচরে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ হাইওয়ে সড়কে উপজেলার কোনাপাড়া নামক স্থানে বাস-সিএনজি’র মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালক সহ ৩ জন নিহত হয়। নিহতরা হলো মাদরাসা ছাত্র হাফেজ মোঃ মোশারফ হোসেন (২০) সহ সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক বাজিতপুর উপজেলার পুরান খলা গ্রামের ইদু মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন (১৮) ও ভৈরব উপজেলার মিরারচর গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে বাহার উদ্দিন (৫০) ।

আরও পড়ুন:  সভাপতির পদ না পেয়ে মাদরাসার দুই শিক্ষককে কোপালেন আ’লীগ নেতা

আরএম/


সম্পর্কিত খবর