শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
ফরিদপুরে দুই সহোদর হত্যা: ৩ মে ঢাকাসহ সারা দেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ তীব্র গরমে আলোকিত মানিকছড়ি জনকল্যাণ সংস্থার প্রশংসনীয় উদ্যোগ ফরিদপুরের দুই শহীদ পরিবারের পাশে হেফাজত নেতৃবৃন্দ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ৭৫ নেতা বহিষ্কার ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু টানা তাপপ্রবাহে ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষায় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের ৫ নির্দেশনা ‘বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের সুযোগ রয়েছে’  মন্দিরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তভিত্তিক বিচারের দাবি ইসলামী আন্দোলনের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া উচিত: কাদের

ইদলিবে মানবিক বিপর্যয় রক্ষা করায় প্রশংসায় ভাসছেন এরদোগান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:  সিরিয়ার ইদলিবে মানবিক বিপর্যয় রক্ষা করতে পারায় সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান।  আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি ইদলিবের সাধারণ মানুষ এখন এরদোগানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

ইদলিবে মানবিক বিপর্যয় রক্ষায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে চুক্তির মাধ্যমে একটি বেসামরিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেন এরদোগান।

এরদোগান ও পুতিনের এই সমঝোতার প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব এন্টনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, সোমবার সোচিতে পুতিন ও এরদোগানের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে এর মাধ্যমে ৩০ লাখ মানুষের জীবনরক্ষা হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব এ জন্য এরদোগান ও পুতিনের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

এরদোয়ানঃ দ্যা চেঞ্জ মেকার

১০ অক্টোবর ইদলিব থেকে ট্যাংক, মর্টার ও বড় কামান প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। ইদলিব সীমান্ত বরাবর ৯ থেকে ১২ মাইলজুড়ে একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একমত হয়েছেন দুই প্রেসিডেন্ট। যেখানে সিরিয়া ও রুশ বাহিনী কোনো হামলা চালাবে না।

আগামী১৫ অক্টোবর থেকে যেটি বাস্তবায়ন করা হবে।তুরস্কের সীমান্ত বরাবর এই বিশাল প্রদেশটিতে ৩০ লাখের বেশি বেসামরিক লোক বসবাস করেন।

তুরস্কের বক্তব্য- ইদলিবে অভিযান চালালে সেখানে অবস্থানরত প্রায় ৩০ লাখ মানুষের মধ্যে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটবে। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হবে এবং তুরস্ক ও ইউরো শরণার্থীর ঢল নামবে। সে কারণে তুরস্ক এই অভিযানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান অভিযানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখেন এবং ইদলিবের কাছাকাছি সেনা সমাবেশ ঘটান। এ নিয়ে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে তুর্কি সরকার দফায় দফায় আলোচনায় বসে।

এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন নেতারা এবং ইদলিববাসীরা এরদোগানের প্রশংসা করছেন। ইদলিবের বাসিন্দা আহমেদ জারজুর তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনাদলু এজেন্সিকে বলেন, আমরা তুরস্ককে বিশ্বাস করি।

তুরস্ক যখন এই এলাকায় শক্তিশালী এবং সক্রিয় তখন আমরা ভালো থাকি। আমরা আমাদের এলাকায় ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) ও তুরস্কের পতাকা উড়িয়েছি।

ইদলিবের একটি হাসপাতালের ম্যানেজার আব্দুস সালাম হাসান বলেন, আমরা তুরস্কে এই অঞ্চলে সহযোগিতার অনুরোধ করছি। তারা যেন আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে।

উল্লেখ্য, ফ্রি সিরিয়ান আর্মি বা এফএসএ হচ্ছে সিরিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী একটি সংগঠন; যাদের প্রায় ৫০ হাজার সক্রিয় যোদ্ধা রয়েছে। সরাসরি তুরস্কের সমর্থনে এই সংগঠন পরিচালিত হয়।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা দেবে কওমি আলেমরা

আপনার ব্যবসাকে সহজ করুন। – বিস্তারিত জানুন

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ