শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


মহিরুহের জীবন নিয়ে জীবন্তিকার ১ম সংখ্যা বাজারে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসমাঈল আযহার
আওয়ার ইসলাম

এ জগৎ সংসারের এক অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন মাওলানা মহিউদ্দীন খান। যার সান্নিধ্যে ধন্য হয়েছেন সমকালের হাজারো মানুষ। তিনি যেন ছিলেন পরশ পাথর। দূরদূরান্ত থেকে মানুষেরা তার কাছে ছুটে আসত।

তার একটু কথায় পরম তৃপ্তি বোধ হত। সামান্য পথনির্দেশনায় দুর্বলও এগিয়ে যেত দূর বহুদূর।

শুধু আলেম সমাজ না, তার কাছে ছুটে এসেছেন দেশের নামকরা ব্যক্তিরা। ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, প্রিন্সিপ্যার ইব্রাহিম খাঁ, দেওয়ান মুহাম্মদ আজরফ, কবি ফররুখ আহমদ, খান বাহাদুর জসীমুদ্দীন, পল্লীকবি জসীমুদ্দীন, কবি সুফিয়া কামাল, কবি গোলাম মোস্তফা, মোস্তফা জামান আব্বাসী কবি তালিম হোসেনসহ অনেক এমপি মন্ত্রী।

মুহিউদ্দীন খান রহ. কে বলা হয় বাংলা সাহিত্যের সম্রাট। তিনি মারেফুল কুরআনের বঙ্গনুবাদ করে চির অমর হয়ে আছেন। তার প্রকাশিত ‘মাসিক মদিনা’র সঙ্গে পরিচিতি ছিল স্বর্বস্তরের মানুষ।

মাসিক মদিনা পড়ে বহু মানুষ পরিচিত হয়েছেন নবী জীবনের সঙ্গে। এবং তারা জীবনকে নববী আদর্শের ওপর চলার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

২০১৬ সালের ২৫ জুন এই মনীষী চলে যান না ফেরার দেশে। বিশ্বাকাশে নেমে আসে শোকের কাল মেঘ। মাথার ওপর থেকে যখন মেঘ খণ্ড সরে যায়, প্রখর রোদ্দুর এসে গা ঝলসে দিতে চায়, তখনই বুঝে আসে। বুঝে আসে তিনি ছিলেন আমাদের জন্য মেঘের ছাঁয়া।

জাতি আজও খুঁজে বেড়ায় তার মতো একজন মনীষীকে। তিনি ছিলেন, একজন বিজ্ঞ আলেম, প্রাজ্ঞ দাঈ, সুবক্তা, দক্ষ লেখক, সুসাহিত্যিক, অনুবাদক, সম্পাদক ও প্রকাশক। রাজনীতির ময়দানেও তার সফল পদচারণা।

এককথায় বলতে গেলে পঞ্চমুখি প্রতিভার মানুষ ছিলেন মহিউদ্দীন খান রহ.। তিনি তার প্রতিভার জোরে জায়গা করে নিয়েছেন সব শ্রেণির মানুষের হৃদয়ে। তাকে নিয়ে স্বরণ, স্মৃতিকথা, মূল্যবিচার, ইত্যাদি রচনা প্রবন্ধ, কবিতা, প্রকাশিত হয়েছে জীবন্তিকায়।

জীবন্তিকায় লিখেছেন, যুগশ্রেষ্ঠ আলেমগণ ও বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ। আটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমাদ শফি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। জামেয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ি মাদরাসার প্রিন্সিপাল আল্লামা মাহমুদুল হাসান। আধুনিক বাংলা সাহিত্বের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা আবদুল মোমিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর সৈয়দ মো. রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)। এছাড়া বাংলাদেশের শ্রদ্ধাভাজন অনেক ব্যক্তি লিখেছেন জীবন্তিকায়।

মহিউদ্দীন খান রহ.কে আমরা অনেকেই দেখিনি। তার থেকে কিছু নিতে পারিনি। তাই আমাদের মনের মধ্যে রয়েছে তীব্র হাহাকার। জীবন্তিকা আমাদের মুহিউদ্দীন খান রহ.কে খুব কাছ থেকে দেখতে না পাড়ার ঘাটতি পূরণ করবে।

চালু হয়েছে কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন

জীবন্তিকার সম্পাদক এহসান সিরাজ। পত্রিকা নিয়ে মতামত দিতে গিয়ে তিনি বলেন, জীবন্তিকাকে শুধু পত্রিকা বললে ভুল হবে। স্মরকগ্রন্থ বলা যেতে পারে।

অতীতে আমাদের থেকে বড় বড় আলেমগণ বিদায় নিয়েছেন- খতিবে আযম সিদ্দীক আহমদ, মাওলানা আতহার আলী, সামছুল হক ফরিদপুরী র.সহ আরো অনেকে।

আমরা সে সমস্ত মনীষীর স্মৃতি সম্পর্কে বেশি কিছু জানতে পারি না। অল্প যা কিছু জানতে পারি তাও খুব কষ্ট সাধ্য। জীবদ্দশায় আমাদের আকাবিরগণ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ করেছেন কিন্তু মৃত্যুর পর তাদের আর ওভাবে কেউ স্মরণ করে না বা করা হয় না।

একরণের বর্তমান বড় বড় আলেমেদের আমরা যেন স্মৃতিতে ধরে রাখতে পারি এবং মৃত্যুর পর যেন তাদের ভুলে না যায় একারণে মূলত জীবন্তিকার প্রকাশ।

জীবন্তিকাল ঘরে বসে কিনতে অর্ডার করুন রকমারিতে

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ