শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


আজ মধ্যরাতেই বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ‘তিতলি’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এলাকা থেকে ভারতের কলকতা, উড়িশ্যা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’। বুধবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।

মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি এখন আরও উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হচ্ছে। যা মধ্যরাতেই আঘাত হানতে পারে।

বিআইডব্লিউটিএ’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিতলির কারণে সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৪ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দেশের সকল অভ্যন্তরীণ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।

এছাড়াও উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে প্রবেশ না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

একইসঙ্গে দেশের সব উপকূলীয় অঞ্চলসমূহের বাসিন্দাদের সতর্ক ও নিরাপদ আশ্রয়ের কাছাকাছি থাকার জন্য বলেছেন আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িশ্যা ও অন্ধ্র উপকূল থেকে বুধবার দিবাগত মধ্যরাত কিংবা বৃহস্পতিবার দিনের প্রথমভাগে বাংলাদেশে আঁছড়ে পড়তে পারে।

এ মুহূর্তে তিতলির কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

বাংলাদেশের উপর আঁছড়ে পড়ার পর ঘূর্ণিঝড়টির শক্তির মাত্রা কেমন হতে পারে কিংবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কী হতে পারে সে সম্পর্কে এখনও কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তিতলি সকল সমুদ্রবন্দরে ৪নং সতর্ক সঙ্কেত

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ