শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


বিএনপির ৩২৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:  লালমনিরহাটে ২০১৭ সালের বিজয় দিবসে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার মামলায় বিএনপির ৩২৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মণ্ডল এ আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, গত বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের র‌্যালিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আসামিদের ছোড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) সুশান্ত সরকার, সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন এবং দুইজন কনস্টেবল আহত হন।

পরদিন এ ঘটনায় বিএনপি’র ২৮ নেতাকর্মীর নামসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ শত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন।

মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) ৪১৯জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনুল হক।

এ মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলার বড়বাড়ির বাসিন্দা হারুন মিয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অপর একটি মামলায় ঢাকা কারাগারে রয়েছেন। এ মামলায় আসলাম নামে একজন লালমনিরহাট কারাগারে রয়েছেন।

অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করে আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মণ্ডল ৩২৭ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি তদন্ত করে ৪১৯ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

লালমনিরহাট কোর্ট পরিদর্শক (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘আদালত এ মামলায় ৩২৭ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় আদালতের আদেশনামা পাঠানো হচ্ছে।’

এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা বলেন, ‘প্রথম দিকে এ মিথ্যা মামলায় ২৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে পুলিশ। এখন নির্বাচনে বিএনপিকে নেতাকর্মী শুন্য করতে এবং গণগ্রেফতারকে বৈধ করতে এ গায়েবি আদেশ দেয়া হয়েছে।


সম্পর্কিত খবর