বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা করে দৌড়ান ৮৫ বছরের বৃদ্ধা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নাম তার জিনেট বেদার্দ। বয়স ৮৫। এই বয়সে অন্য নারীরা যেখানে থুত্থুরে বুড়ি বনে যান, সেখানে তিনি প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে দৌড়ান!

জিনেট বেদার্দের ভাষ্য, ‘আমার বয়স হয়েছে। অনেক শোকতাপ এসেছে জীবনে। কিন্তু শুধু দৌড়ানোর সময়টুকুতে আমার মনে হয়, আমি সেই ২০ বছরে আছি।’

এনডিটিভি ও দ্য স্টার অনলাইন বলছে, বছরে ৩৬৫ দিনই রোজ তিন ঘণ্টা করে দৌড়ান জিনেট। তার চাওয়া, বিশ্বের সব চেয়ে বেশি বয়সি নারী হওয়া।

তিনি মনে করেন, ‘দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার জন্য শুধু হাত-পাগুলো কাজে লাগানোই যথেষ্ট। কেননা, শুধু দৌড়ের মধ্যে থাকলেই সব ঠিক থাকে, দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে। আর তাই আমি বছরের পর বছর সেটাই করে আসছি নিয়মিত। ফিটনেসও ধরে রেখেছি।’

ফ্রান্সের মেজ শহরে জন্ম বেদার্দের। তবে বেড়ে উঠেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে, ১৯৭০ সালে এখানে আসেন তিনি। বেদার্দ জানান, নিয়মিত দৌড়ালে সুস্থ থাকার জন্য আর কিছুই লাগে না; না ওষুধ, না বিশেষ খাবার।

সম্প্রতি নিউইয়র্ক সিটিতে একটি দৌড়ের অনুষ্ঠানে জিনেট বলেন, ‘আমার অন্য কোনও বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। কারণ আমি প্রতিদিন তিন ঘণ্টা দৌড়াই। সে জন্য আমি সব সময় অনেক সক্রিয়ও থাকি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি একা। আমার স্বামী মারা গেছেন। তারপর থেকে সময় কাটছিল না। একা লাগছিল। অবসরও নিয়ে নিয়েছিলাম। সময় কাটছিল না। তাই দৌড় শুরু করি, প্রতিদিন, নিয়মিত। একসময়ে নেশা হয়ে যায়। প্রতিদিন দৌড়াটা অভ্যাস হয়ে যায়। ভালোই লাগে। বেশ তাজা লাগে নিজেকে। শরীর ও মন, দুই দিক থেকেই।’

এই বৃদ্ধ বয়সে কিশোরীবেলায় কেনা জগিং ড্রেস পরে দৌড়ান জিনেট। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু আমার শরীরের কথা শুনি। বোঝার চেষ্টা করি, ও কী চাইছে। একটা বয়সের পরে আমি অনুভব করি, শরীর সুস্থ রাখতে গেলে আমাকে দৌড়াতে হবে। সেটাই করি।’

প্রাণশক্তির মতোই রসবোধও আছে জিনেটের। হেসে বলেন, ‘একটা প্রেমিক হলে ভালোই হতো। কিন্তু আমার বয়সি পুরুষগুলো তো সব বুড়িয়ে থুত্থুরে হয়ে গেছে, আর আমার থেকে যারা ছোট তারা বউয়ের সঙ্গে বুড়ো হচ্ছে। আমার জন্য কেউ নেই এখন।’

কেপি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ