শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


যে প্রতিষ্ঠান নিয়ে স্বপ্ন দেখেন মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী
ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক

পৃথিবী এগুচ্ছে। কল্পনার জগতকে হার মানিয়ে উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে। সাথে সাথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ, দেশের শিক্ষাঙ্গন, শিক্ষাধারা৷

উন্নতবিশ্ব মোট খরচের ৩০% ব্যয় করছে শিক্ষাখাতে। প্রতিফলও সে হারেই ঘরে উঠছে। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যয় নিয়ে সন্তুষ্ট নন দেশের বা বিদেশের কোন শিক্ষাবিদ। মোট খরচের ৪% ব্যয় হচ্ছে শিক্ষাখাতে যা কখনোই যথেষ্ট নয়।

বলছিলাম জেনারেল শিক্ষার কথা। এবার বলবো মাদরাসা শিক্ষার ব্যয় নিয়ে। গত বছরের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে মোট খরচের ০.৩৫% খরচ হচ্ছে দেশের মাদরাসাগুলোতে। আর সেটাও রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নয়, বরং দান-অনুদানের।

মাদরাসা শিক্ষা থেকে ধনবাদী সমাজের মানুষ হাত গুটিয়ে রেখেছেন। তার কারণ দুটি, ১ উন্নত আবাসন ও খাবার না থাকা। ২ কর্মক্ষেত্রে সংকীর্ণতা। কর্মক্ষেত্রের সংকীর্ণতা পুরোপুরি দূর করাটা আপাতত সম্ভব না হলেও উন্নত আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করাই যাই।

১৪ লক্ষ শিক্ষার্থীর জীবন কিভাবে কাটছে, তা এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর থেকে উত্তরণের জন্য দরকার আধুনিক ও মনোরম পরিবেশের মাদরাসা। যার উপস্থিতিতি বর্তমানে খুব একটা চোখে পড়ছে না।

এ অভাব পূরণের লক্ষ্যে মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী ঢাকার অদূরে (সাভার) গড়ে তুলেছেন মারকাজুত তারবিয়াহ। সাভারের সুগন্ধা হাউজিংয়ে বিশ শতাংশ জমির উপর মাদরাসাটির ভিত্তি স্থাপন করেছেন। যেই হাউজিংয়ে সম্পদশালী একজন মানুষও প্লট ক্রয় করতে হোঁচট খাবে।

শুধু নামকরা জায়গাতেই নয়, বরং মাদারাসায় ঢুকলে মনে হবে, উন্নত কোন প্রাইভেট স্কুলে ঢুকে পড়েছি। পুরো মাদরাসা সিসি ক্যামেরার আওতাধীন। ছাত্রদের এবং মেহমানদের জন্য আলাদা আলাদা ফ্রিজের ব্যবস্থা। রয়েছে দৃষ্টিনন্দন মেহমানখানা ও এয়ারকন্ডিশন। রয়েছে পর্যাপ্ত কিতাবের সুবিশাল মাকতাবা ও কম্পিউটারের ব্যবস্থা।

তবে আবাসন ও খাবার ছাড়াও ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে পড়াশোনায়। সার্বক্ষণিক নেগরানিতে রয়েছেন উস্তাদগণ৷ হিফজ বিভাগেও জেনারেল সাবজেক্টগুলো পড়ানো হচ্ছে গুরুত্বসহকারে।

তবে নিজস্ব জায়গাতে এখনো উঠতে পারে নি আলোচিত এই প্রতিষ্ঠানটি। এলাকাবাসী আশা করছেন অল্পকিছু দিনের মধ্যে মাদরাসাটি নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর হবে।

আধুনিকতা ও উন্নয়নের ব্যপক উপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের মুহতামিম ও পরিচালক মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী বলেন, পরিবেশ ভালো হলে ছাত্রদের পড়াশোনায় সেটা বড় ভূমিকা রাখে। ছাত্ররাও পড়ে মজা পায়।

সবচে বড় কথা হলো উন্নত আবাসন ও খাবারের কারণে ছাত্রদের রুচিও উন্নত হয়। উন্নত রুচির প্রতি ইসলাম বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। যুগের ধনী দরিদ্র সবার দাবিই উন্নত প্রতিষ্ঠান। সেই দাবি পূরণের লক্ষ্যেই আমি এই মাদারাসাটি গড়ে তুলেছি।

তিনি আরও বলেন, মাদরাসটি নিয়ে আমার কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। মাদরাসায় বিভিন্ন বিষয়ে তাখাসসুসের ব্যবস্থা করা হবে, তাখাসসুস ফিল বয়ান ওয়াল ইরশাদ, তাখাসসুস ফিল ফিকাহ, তাখাসসুস ফিত তাফসিরসহ আরও কিছু বিভাগ করার ইচ্ছা রয়েছে। আমাদের এখান থেকে যেন লেখক, স্কলার বের হয়- এর জন্যও আলাদা বিভাগ করার আশা রাখি।

মাদরাসার কিছু শাখা করার ইচ্ছাও পোষণ করি। আল্লাহ যেন আমার মনের আশা পূরণ করেন, এর জন্য দোয়া চাই৷

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ