শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


চীনে মুসলিম নির্যাতনের বন্দিশিবির বন্ধের দাবি তুরস্কের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: চীনের উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর একজন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী আট বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুরেহিম হেয়িতের মৃত্যুর পর চীনকে বন্দিশিবির বন্ধ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক।

উইঘুর সংখ্যালঘু মুসলিমদের প্রতি চীন সরকারের দমনপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। হেয়িতের মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। চীনের ওই বন্দিশিবিরগুলোয় নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তা বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তুরস্ক।

এ ধরনের মানবিক বিপর্যয় বন্ধে জাতিসংঘকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বানও জানানো হয় বিবৃতিতে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন বন্দিশিবিরগুলোতে সংখ্যালঘু মুসলিমদেরকে আটক রেখে নির্যাতন করে চলেছে।

চীনের জিনজিয়াংয়ের ওই বন্দিশিবিরে সংখ্যালঘু দশ লাখ উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর মানুষকে আটক করে রেখেছে চীন সরকার।

শনিবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামি অকসয়  ওই বিবৃতি পর বলেন, ‘এটা আর গোপন কথা নয় যে, চীনে ১০ লাখেরও বেশি সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের বন্দি করে রাখা হয়েছে। বন্দিশিবিরে তাদেরকে নির্যাতন করা হচ্ছে।

তুরস্কের মুখপাত্র বলেন, ‘বন্দিশিবির ও পুনঃশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীতে পদ্ধতিগত নির্যাতনের নতুন নজির তৈরি করেছে চীন সরকার। যা মানবতার জন্য লজ্জাকর।’

সঙ্গীত বিষয়ে ডিগ্রিধারী আবদুরেহিম হেয়িত ছিলেন মুসলিম জনগোষ্ঠীর জনপ্রিয় শিল্পী। তাকে ‘জনক’ শিরোনামে একটি গানের জন্য ২০১৭ সালে আটক করে জিনজিয়াং প্রদেশে বন্দিশিবিরে রাখা হয়।

উইঘুর সম্প্রদায়ের পূর্বপুরুষদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে শ্রদ্ধাশীল হতে অনুপ্রেরণামূলক গান ছিল সেটি। গানের এক জায়গায় ব্যবহৃত ‘যুদ্ধের শহীদেরা’ শব্দ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় চীন কর্তৃপক্ষ। হেয়িত সন্ত্রাসবাদকে এই গানের মাধ্যমে উসকানি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে চীন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে।

-আরএইচ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ