বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

আদর্শ হিফজ বিভাগ হতে পারে মারকাজুত তারবিয়াহ সাভার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী
ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক

গত চার পর্বে আমরা দেশের নানা জায়গার হিফজুল কুরআন বিভাগের অবহেলিত শিক্ষকদের সুখ- দুঃখের কথা বলেছি। তাতে উঠে এসেছে তাদের মানবেতর জীবন যাপনের কথা।

এবার বলবো একটি আদর্শ হিফজ বিভাগের কথা। দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু উন্নত মানের হিফজ বিভাগ রয়েছে। যেখানে শিক্ষকরা কর্তৃপক্ষের সুনজর পাচ্ছেন। পাশাপাশি ছাত্রদের খাবার এবং আবাসনের প্রতি দৃষ্টি রাখা হয়েছে সমানতালে।

তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান সাভারের মারকাজুত তারবিয়াহ। পড়াশোনা, খাবার, যত্ন, এবং ছাত্রদের আত্মশুদ্ধি সবই হচ্ছে নিয়ম মেনে। বিশেষ করে এখানকার শিক্ষকরা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে বেশ ভালোই সম্মানি পাচ্ছেন।

হিফজ বিভাগের পঁয়তাল্লিশ জন ছাত্রকে নেগরানি করছেন তিনজন শিক্ষক। এবং তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। এখানকার একজন শিক্ষকের বেতন ষোল হাজার টাকা। এছাড়াও উন্নত হাউজিংয়ে থাকার জায়গা ও বিবিধ সুযোগ সুবিধাও পাচ্ছেন তারা।

শিক্ষক এবং ছাত্রদের জন্য নিয়ম মাফিক খাবারের আয়োজন হচ্ছে। সপ্তাহে একদিন ডিম, দুদিন গোস্ত এবং তিনদিন মাছ। সকালের নাস্তা ও রাতের ডিনারও বেশ স্বাস্থ্যকর।

এছাড়াও কর্তৃপক্ষ পবিত্র কুরআনের সম্মান রক্ষায় আধুনিক কাঠের রেহাল, আধুনিক পদ্ধতিতে কুরআন মশক এবং ট্রাঙ্কের বিপরীতে উন্নত স্টীলের লকার। যাতে পাঁচটি ট্রাঙ্ক রাখার জায়গায় পঞ্চাশটি লকার রাখা যায়।

এ প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক মাওলানা নোমান আইয়ুবী। তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমরা মারকাজুত তারবিয়ায় শিক্ষকতা করে বেশ ভালোই আছি। মানানসই সেলারি, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং অন্যান্য আনুসাঙ্গিক সুবিধায় আমাদের জীবন যাপন করতে সুবিধা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে হাফেজ শিক্ষকদের প্রতি একপ্রকার অবিচার করা হয়। আমার মনে হয় এর থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা দরকার।

প্রতিবছরের ন্যায় শীর্ষ পুরষ্কার এবং শীর্ষস্থান দখলে রাখতে হলে আমাদের হিফজ বিভাগগুলোকে বিশেষ নজরে আনা প্রয়োজন। তা না হলে একটা সময় এতোটা ভাল রেজাল্ট সবসময় আমাদের নাও হতে পারে।

আরএম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ