শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


আমাদের লক্ষ্য উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য উন্নয়ন। উন্নয়নের জন্য আমরা অনেকগুলো মেগাপ্রকল্প হাতে নিয়েছি। শুধু শহর নয়, আমরা গ্রামেরও উন্নয়ন চাই।’

শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভুলতা ফ্লাইওভারের (ঢাকা বাইপাস অংশ), কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতু ও গাজীপুরের লতিফপুর রেলওয়ে ওভারপাসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি ওই কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু নিয়ে আমাদের মন্ত্রী (সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী) ওবায়দুল কাদেরের অনেক আগ্রহ ছিল। কথা ছিল সেখানে গিয়ে আমি ব্রিজটি উদ্বোধন করব। কিন্তু দুর্ভাগ্য, কাদের হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি ফিরে এলে তাকে নিয়ে ব্রিজ পরিদর্শনে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের জন্য দোয়া করবেন, যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে এসে পুরো উদ্যোমে কাজ করতে পারেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেখা যায় চালক ক্লান্ত, গাড়ি চালাতে দেন হেলপারকে। এটাও একটা অপরাধ। হেলপারের লাইসেন্স আছে কি-না সেটাও দেখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক সেতুতে ওয়েট মেশিন থাকা দরকার। যানবাহনগুলো ওভারলোডেড কি না তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। এছাড়া আমাদের তো বিকল্প ব্যবস্থাও রয়েছে। যেসব পণ্য দ্রুত পচনশীল না সেসব যানবাহন ফেরির মাধ্যমে পারাপার করার ব্যবস্থা নিতে হবে।’

সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ৪০০ মিটার দৈর্ঘ এবং ১৮ মিটার প্রস্থ দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুটি যানচলাচলের জন্য খুলে দিলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট অনেকটা কমে আসবে। দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে এবং খুব শিগগির এ সেতু দুটিও যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবায়শি করপোরেশন, শিমিজু করপোরেশন, জেএফই ইঞ্জিনিয়ার করপোরেশন এবং আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেম কোম্পানি লি: ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতুর পাশাপাশি দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে। আগামী জুনে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবার কথা ছিল, তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় চার মাস আগেই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

কাঁচপুর, মেঘনা ও মেঘনা গোমতি সেতুর পাশাপাশি তিনটি চার লেনের সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলে দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম এই সড়কে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুভোর্গের অবসান ঘটবে বলে আরএইচডি’র কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করছেন।

কেপি


সম্পর্কিত খবর