আওয়ার ইসলাম: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের ‘আল নূর' মসজিদে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুই সন্ত্রাসী৷ পুলিশসূত্রে জানা গেছে, হামলাকারী সন্ত্রাসীরা মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাবাপন্ন৷
হামলাকারী দুই সন্ত্রসীর একজন ২৮ বছরের অস্ট্রেলিয়ান যুবক। যে দেশের অভিবাসীও মুসলিমদের প্রতি বিরূপ মনোভাবাপন্ন সেটা ধরা পড়েছে ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া একটি ইশতাহার থেকে৷ ৭৪ পৃষ্ঠা দীর্ঘ এই ইশতাহারে বারবার সে শ্বেতবর্ণ মানুষদের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলেছে৷
শুধু তাই নয়, কেন ইসলামপন্থি মানুষদের সাথে পশ্চিমা চিন্তার বিরোধ, তাও সে বোঝাতে চেয়েছে সেখানে৷
স্থানীয় পুলিশ যদিও যুবকের পরিচয় জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি৷ তবে ‘ব্রেন্টন টারান্ট' নামে সামাজিক মাধ্যমে সে আগেও নানা বিদ্বেষী বক্তব্য ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ সেই ব্যক্তির প্রোফাইল থেকেই গোটা হামলার ঘটনাটি অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়৷
সেই ভিডিওতেই তাকে দেখা যায় ভয়াবহ এই ঘটনাকে ‘পার্টি'-র সাথে তুলনা করতে!
কেন এই হামলা?
সাধারণ পরিবারে বেড়ে ওঠা ওই যুবকের ভেতর আগে থেকেই ছিল বর্ণবাদ, অন্ধত্ব৷
নিজের ভেতরে এই বাড়তে থাকা বিদ্বেষের সাথে সাথে এমন হামলার কারণ হিসাবে ইশতাহারে সে দিয়েছে ইউরোপের উদাহরণ৷
ফ্রান্সে বেড়াতে এসে আশেপাশে বহু অভিবাসী মানুষদের দেখে হামলাকারী সন্ত্রাসী ওই যুবক আস্তে আস্তে এই হামলার জন্য নিজেকে তৈরি করে৷ ৩ মাস আগেই টার্গেট হিসাবে ঠিক করে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ৷
হামলাকারী সন্ত্রাসী যুবকের খাতা-কলমে কোনো চরমপন্থি সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার খবর এখনও পাওয়া মেলেনি৷
কিন্তু তার ইশতাহার ও বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে তার লেখার প্রতিক্রিয়া থেকে পুলিশ ধারণা করছে যে একাধিক বর্ণবাদী, ইহুদিবিদ্বেষী ও ইসলামবিদ্বেষী ব্যক্তিদের দ্বারা সে অনুপ্রাণিত হয়েছিল৷
সূত্র: ডয়েচে ভেলে।