আওয়ার ইসলাম: শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় দুটি মসজিদে শ্বেতাঙ্গ জঙ্গি ব্রেনটন টেরেন্টের গুলিতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৪৮জন। নিহতদের মধ্যে পাঁচ বাংলাদেশিও রয়েছেন।
নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের ওপর শেতাঙ্গ উগ্রবাদী সন্ত্রাসীর চালানো স্মরণকালের ইতিহাসে বর্বরোচিত এ হামলার ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে বিশ্বজুড়ে।
তবে হামলাকারী শ্বেতাঙ্গ জঙ্গি ব্রেনটন টেরেন্ট আদালতে তার কোনো আইনজীবী লাগবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এতে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ওই অস্ট্রেলীয় সন্ত্রাসীর আদালত নিয়োজিত আইনজীবী রিচার্ড পেটারস বলেছেন, হামলাকারী নিজের মামলা নিজেই লড়তে চাচ্ছেন। বিচারে আইনি লড়াইয়ের জন্য তিনি কোনো আইনজীবী চাচ্ছেন না।
এতে এই ব্যাপক হত্যাকাণ্ডকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য ছড়িয়ে দেয়ার প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
পেটারস বলেন, টেরেন্টর সিদ্ধান্তকে অযৌক্তি বলে মনে হতে পারে। কিন্তু তার সিদ্ধান্ত স্বচ্ছ ও পরিষ্কার। তিনি মানসিকভাবে অস্থির কেউ না। সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ।
তবে কেন এ সন্ত্রাসী কোনো আইনজীবী চাচ্ছেন না, তার কোনো ব্যাখ্যা কিংবা কারণ বর্ণনা করেননি। আইনজীবী পেটারস বলেন, এ অস্ট্রেলীয় সন্ত্রাসীর ধারণা সে যেটি করতে চাচ্ছেন, তাতে আইনজীবী ছাড়াই ভালো জমবে।
‘আমার সন্দেহ, টেরেন্ট নিজের প্রচারের ব্যাপারে কোনো লজ্জাবোধ করবেন না। আর এ বিচার প্রক্রিয়াই হতে যাচ্ছে তার একটা সম্ভাব্য উপায়। বিচারিক আদালতকে তিনি সেভাবেই মোকাবিলা করবেন।’
তিনি বলেন, কিন্তু এটি কোনো দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারের জায়গা না। এটি হচ্ছে আদালত, যেখানে তিনি অপরাধী নাকি নিরপরাধ তা নির্ধারণ করা হবে। তবে অপরাধী যদি নিজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারের জায়গা হিসেবে আদালতকে বেছে নেন, তবে তার প্রতি বিচারক খুব সমব্যথী হবেন না।
টেরেন্টের বিরুদ্ধে বর্তমানে হত্যা মামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আরও অভিযোগ আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরএম/