সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
০৫ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে:ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ‘অখণ্ড ভারত’ মতবাদ এই অঞ্চলের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ৫ মে ২০১৩: কী ঘটেছিল সেদিন ঢাকায়? আসুন, শাপলা হত্যার বিচার দাবিতে সোচ্চার হই মহাসমাবেশ পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে হেফাজত নেতারা মাওলানা বুস্তানবীর ইন্তেকাল উম্মাহর জন্য বিশাল ক্ষতি: দেওবন্দের মুহতামিম রানীগঞ্জে জমিয়তের সঙ্গে সৈয়দ তামিম আহমদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ঘোড়ায় চড়ে হজ করতে এলেন চার ইউরোপীয় মুসলিম! প্রত্যাহার হচ্ছে হেফাজতের দুই শতাধিক মামলা, প্রক্রিয়া শুরু ৫ মে শাপলা গণহত্যার বিচার দাবি আলেমদের গণ্ডি পেরিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে 

সেই শিশুটির নাম নাঈম, বড় হয়ে পুলিশ হতে চায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে যখন এফআর টাওয়ার জ্বলছিল বহু মানুষ ব্যস্ত ছিল সেলফি তুলতে আর ঘটনা দেখতে। সে সময় শিশু নাঈম ফায়ার সার্ভিসের ফুটো পাইপ কাগজ দিয়ে বেঁধে পা দিয়ে আটকে রাখছিল। এ ঘটনা কাল ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এফআর টাওয়ারে আটকা পড়া মানুষের উদ্বেগ-আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে সেখানকার পরিবেশ। ধোঁয়ার কুণ্ডলীর কারণে আকাশ দেখা যাচ্ছিল না। এরই মধ্যে সেখানে উপস্থিত হন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে থাকেন তারা। কিন্তু পানি দেওয়ার সেই পাইপ ফুটো থাকায় কাজে ব্যঘাত ঘটে।

বিষয়টি চোখে পড়ায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহযোগিতা করতে পলিথিন দিয়ে সেই ফুটো বন্ধ করার চেষ্টা করে নাঈম নামে এক শিশু। তবুও ফুটো দিয়ে পানি বের হতে থাকলে পাইপের সেই পলিথিন জড়ানো স্থানে হাত ও পা দিয়ে শক্ত করে ধরে থাকে সে, যাতে এখান দিয়ে কোনো পানি না বের হয়।

আগুনে আটকা পড়া অসহায় ব্যক্তিদের জীবন বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করা শিশু নাঈমের ঢাকার কড়াইল বউবাজারে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে। তার বাবা ঢাকায় ডাব বিক্রি করে, মা অন্যের বাসায় কাজ করে।

দরিদ্র পরিবারের সন্তান নাঈম ক্লাশ ফাইভে পড়াশোনা করছে। আগুন লাগার সময় সেও অন্যদের মতো কৌতুহলি হয়ে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে আসে। যখন দেখে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তা প্রয়োজন তখন পাইপ চেপে ধরে সহযোগিতা করে।

পাইপ চেপে ধরা ছবিটি কখন তোলা হয়েছে সে নিজেও জানে না। তবে এক অসহায় মুহূর্তে ছোট শিশুর এই সহায়তার মানসিকতা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ময় তৈরি করেছে। এই কাজের জন্য সবাই শিশুটিকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন।

নাঈম সাংবাদিকদের বলেছে, আমি যখন আগুন লাগছে দেখলাম, তখন একাই চইলা আসছি। ২০ মিনিটের মতো চেষ্টা করছি। পরে আমার বাপে আমারে নিয়া যায়। রাইতে আমার ছবি ইন্টারনেটে দ্যাখছে আমার বাড়িওয়ালা, সেই আমার বাবা-মায়রে দেখাইছে।

এই শিশু নাঈম বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হতে চায় জানিয়ে সাংবাদিকদের জানায়, আমি পড়ালেখা করতে চাই। অনেক পড়াশোনা কইউরা আমি বড় পুলিশ অফিসার হইতে চাই।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ