শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


কাতারে ড. জসিম নদভীর 'জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা' অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইমাম শরীফ
কাতার থেকে

কাতারে বাংলাদেশী ওলামায়ে কেরামের আহ্বানে গত ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) দাপনা গার্ডেনের পার্শস্থ মসজিদ আবিদ দারদা’তে জামেয়া দারুল মাআরিফের সহকারী পরিচালক, রাবিতা আদাবুল ইসলামী বাংলাদেশ ব্যুরোর সেক্রেটারী, বিশিষ্ট আলেম ও আরবী সাহিত্যিক মাওলানা ড. জসিম উদ্দীন নাদভীর মৃত্যুতে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

মাওলানা জমির বিন মাহমুদের সঞ্চালনায় মাহফিলে সভাপতিত্ব ওজারাতুল আওক্বাফ কাতারের ইমাম ও খতিব, মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমীর মাওলানা ওবাইদুল্লাহ।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বন্ধুবর মাওলানা জসিম নদভীর ইন্তিকালের সংবাদ শুনে দু’রাকাত নামাজ পড়লাম এবং আল্লাহর দরবারে দোয়া করলাম। তার মৃত্যূটি একটি ঈর্ষণীয় মৃত্যূ। ওমরা করলেন। অসুস্থ হলেন। নিজে কালিমা পড়তেছিলেন এবং পরিবারকেও বলছিলেন কালিমা পড়ার জন্য। পবিত্র হারামে জানাযা পেলেন। মাকবারায়ে মুয়াল্লায় দাফন হলেন।

ইসলামিক ইন্সূ্রেন্স কাতারের শরীয়াহ সুপারভাইজ মাওলানা শফিউল হক বলেন, মৃদুভাষী অমায়িক আখলাকের অধিকারী মরহুম ড. জসিম নাদভীর মত আলেমকে হারিয়ে জাতি সম্ভাবনাময় একজন রাহবার হারাল।

আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ সেন্টার (ফানার) এর দায়ী ও গভেষক মাওলানা ক্বামার বলেন, তিনি ছিলেন জ্ঞান সাধনায় নব প্রজন্মের মাইল ফলক।

ওজারাতুল আওক্বাফের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, গতানুগতিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সতর্ক থেকে মরহুমের অসমাপ্ত কর্মগুলোর উপর বাস্তবতার আলোকে গুরুত্ব দেয়া দরকার এবং একান্ত সময়ে তার জন্য দোয়া করা দরকার।

আলোচনায়  মাওলানা এমদাদুল্লাহ বিন যাওক বলেন, তিনি জামেয়া দারুল মা’আরিফের অভিভাবক ছিলেন তা শুধু নয়, আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় সময়ে উপযুক্ত অভিভাবক হারিয়েছি।

কাতার ইউনিভার্সিটির গভেষক হোসাইন মুহাম্মদ নাঈমুল হক প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বলেন, মরহুম ওস্তাদ জসিম নাদভীর আলোচনা পূর্ণাঙ্গ করার জন্য আমাদেরকে শায়খ হযরত মাওলানা সোলতান যাওক নাদভীর আলোচনায় যেতে হবে। আজকের মরহুম জসিম নাদভী হলেন শায়খনা সোলতান যাওক নাদভীর হাতেগড়া সম্পদ। তার তত্বাবধানে থেকে তিনি নিজেকে আজকের পর্যায়ে এনেছেন। হযরতের জামাতা হলেন।

তিনি আরো বলেন, এতটুকু শুধু নয়, শায়খনা যাওক নাদভীর ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান জামেয়া দারুল মা’আরিফের হাল ধরেছেন। প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে শায়খের যত স্বপ্ন, তিনি মনে প্রাণে সেগুলো বাস্তবায়ন করাকে নিজের কর্তব্য মনে করতেন। তিনি ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহ দিয়েই ক্ষান্ত হতেন না; ব্যবস্থাও করতেন। যার ফলস্বরূপ কাতার মা’হাদ হয়ে অনেকের কাতার ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ হয়েছে।

মাওলানা নাঈমুল হক বলেন, তার আশা ছিল আন্তর্জাতিক মানের একটি লাইব্রেরি করবেন। তিনি জামেয়াতে তা করেছেন। ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে তার আকাশ সমান স্বপ্ন ছিল। ওস্তাদ জসিম নাদভী রহ. স্বপ্ন দেখতেন এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে দিতেন আর এখানেই তিনি ব্যতিক্রম এবং আমাদের মাঝে আজকে আলোচ্য।

এতে কাতারের বাংলাদেশ কমিউনিটির ওলামা ও সর্বস্থরের মানুষ উপস্থিত হন। এছাড়াও বি’ছাতুল হাজ্জ, কাতার এর কর্মকর্তা আওকাফের ঈমাম মাওলানা আহসান উল্লাহ, ইসলামী জনকল্যাণ সংস্থাপন সভাপতি মাওলানা আসাদউল্লাহ, মাওলানা রশিদ আহমাদ, মাওলানা সোলাইমান, মাও: জহিরুল ইসলাম, হাফেজ আমানউল্লাহ ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মরহুমের জন্য দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল রাত ১ টায় স্বপরিবারে ওমরা পালন শেষে অসুস্থ হলে কিং ফায়সাল হসপিটালে নেয়া হয় এবং সেখানে তিনি ইন্তিকাল করেন।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ