বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’ মালয়েশিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটিতে সম্পন্ন হলো বিয়াম'র চ্যাপ্টার কমিটি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জ্যামাইকার আগামীদিনে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হবে দেশের হজ ব্যবস্থাপনা: ধর্মমন্ত্রী সকালে ইসতিসকার নামাজ আদায়, রাতেই নামল স্বস্তির বৃষ্টি চাঁদ মামার বয়স হয়েছে! চাঁদের বয়স কত? বিশেষ ট্রেনের ৩ বগি লাইনচ্যুত, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যোগাযোগ বন্ধ বাড়তে পারে তাপমাত্রা, দুপুরের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টির আভাস

শবে বরাতেও যাদের দোয়া কবুল হবে না: মাওলানা তারিক জামিল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা তারিক জামিল 
মুসলিম স্কলার ও দাঈ

শবে বরাতের রাতে ফেরেশতারা সারাবছর যা কিছু হবে সব ঘোষণা করতে থাকে। কোথায় যুদ্ধ হবে, কোথায় শান্তি থাকবে, কোথায় বৃষ্টি হবে, কোথায় শুকনো থাকবে, কতজন মারা যাবে, কতজন জন্মগ্রহণ করবে, কোন ব্যক্তির রিজিক কোথায় রয়েছে, কার সম্মান বৃদ্ধি পাবে, কার বদনাম হবে - ফেরেশতারা সবকিছু এ রাতে এলান করে দেন।

এক ব্যক্তির নাম মৃতের খাতায় লেখা হয়েছে। ফেরেশতারা এলান করে দিয়েছে। এরপর ফেরেশতারা তার দিকে দৃষ্টি রাখতে থাকে। সে যখন বদমায়েশি করে তখন ফেরেশতারা বলে, দেখো! ওর নাম মৃতের খাতায় লেখা রয়েছে। আর সে কিনা নাফরমানি করতেছে!

আল্লাহর কাছে পাঁচটি দামী রাতের অন্যতম হলো ১৫ শাবানের রাত বা  “লাইলাতিন নিছফি মিন শা’বান”। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা উম্মতকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দেন।

রাসুলে আরাবী সা. বলেছেন, এ রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বনী কালব গোত্রের বকরীর গায়ে যে পরিমাণ পশম থাকে সে পরিমান মানুষকে মুক্তি দান করেন। এখানে বনী কালব একটি উধাহারণ মাত্র, অর্থাৎ এ কথা দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে আল্লাহ তায়ালা অগনিত মানুষকে নাজাত দেবেন।

তবে আল্লাহর বিশেষ ক্ষমার ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও এ রাতে সাত শ্রেণির মানুষের মুক্তি নেই। তারা হলো-

১. মুশরিক, ২. মদ পানকারী, ৩. পিতা-মাতার অবাধ্যতাকারী, ৪. হাসাদ বা হিংসা পোষণকারী, ৫. আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী, ৬. যিনাকারী, ৭. অহংকারী

এ রাতের নিষিদ্ধ কাজ : আমাদের সমাজে দেখা যায় এ রাতে অনেকেই রাত জেগে সম্মিলিতভাবে দলবেঁধে ইবাদাত করে। মসজিদে লাইট জালানো হয়, আলো ঝলমল পরিবেশ তৈরি করা হয়। এ সব আমলের কোনো ভিত্তি ইসলামে নেই। এ রাত নফল ইবাদাতের রাত। যতবেশি পারা যাবে নফল ইবাদাত করতে হবে। আর এ রাতের সর্বোত্তম ইবাদাত হলো, তাওবা করা ও দোয়া করা।

(উর্দু থেকে অনুবাদ করেছেন মোস্তফা ওয়াদুদ)

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ