বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’ মালয়েশিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটিতে সম্পন্ন হলো বিয়াম'র চ্যাপ্টার কমিটি

জীবন বীমা প্রসঙ্গে দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি মোস্তফা ওয়াদুদ কাসেমী
আওয়ার ইসলাম

মানুষের স্বাভাবিক বা আকষ্মিক মৃত্যুতে পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নিশ্চয়তা প্রদানে প্রতিষ্ঠিত জীবন বীমা। এতে ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বীমা করে। এর মধ্যে কিস্তিতে সে একটি নির্দিষ্ট হারে প্রিমিয়াম পরিশোধ করে। আমরা অনেকেই জীবন বীমা বা লাইফ ইন্সুরেন্স করে থাকি।

সম্প্রতি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে ইসলামের দৃষ্টিতে ইন্সুরেন্স বা জীবন বীমা জায়েজ আছে কিনা জানতে চেয়ে জৈনক এক ব্যক্তি প্রশ্ন করলে দারুল উলুমের ইফতা বিভাগ থেকে জীবনা বীমা নাজায়েজ বলে ফতোয়া দেওয়া হয়েছে।

ওই ব্যক্তি তার প্রশ্নে বলেন, একটি কোম্পানি দাঁড় করাতে আমার অনেক টাকা ঋণ হয়ে গেছে। ব্যাংক থেকেও কিছু ঋণ নিয়েছি। এখন কিছু কিছু পরিশোধ করছি। কিন্তু কখনো কখনো অন্তরে এ খেয়াল আসে। যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটে যায়? এমন সময় আমার এক বন্ধু একটি লাইফ ইন্সুরেন্স করার পরামর্শ দেয়।

আমার বন্ধু আমাকে বলেছেন, একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রতিমাসে কোম্পানিকে কিস্তি দিতে হবে। যদি এর মাঝে কোনো দূর্ঘটনা ঘটে যায়, যেমন ইন্তেকাল হয়ে যাওয়া। তাহলে কোম্পানি থেকে বড় অংকের টাকা পাবে। আর যদি কোনো দূর্ঘটনা না ঘটে তাহলে কোম্পানি থেকে কোনো টাকাও পাবে না। আর কোনো লভ্যাংশও পাবে না। আমার জানার বিষয় হলো, এই ইন্সুরেন্স করা বৈধ নাকি অবৈধ?

এই প্রশ্নের উত্তরে দারুল উলুম দেওবন্দ বলে, আপনার বন্ধু যে পরামর্শ দিয়েছে সেটা ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক জায়েজ নেই। ইন্সুরেন্সের সিস্টেমে জুয়া এবং সুদও থাকে। আর এ উভয়টিকে পবিত্র কুরআনে হারাম করা হয়েছে। একারণে ইন্সুরেন্স করা জায়েজ নেই।

মূল ফতোয়াটি পেতে ক্লিক করুন...

এমএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ