বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

ভাত খেয়েই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার রিসার্চের বিজ্ঞানীরা এমন কিছু ধানের নতুন ভ্যারাইটি আবিষ্কার করেছেন যাদের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স শুধু কমই নয় বরং সেগুলি খাওয়া ডায়াবেটিসের রোগিদের উপকারী।

ডায়াবেটিসের রোগিদের বেশি ভাত খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞারয়েছে । তবে এখন থেকে নিশ্চিন্তে ভাত খেতে পারবেন। তবে সেটা পরিমিত ভাবে। এই নতুন প্রকারের ধানগুলি হল ললাট ৫৩.১৭ (GI – 53.17), বিপিটি ৫২০৪ (GI – 51.42), সম্পদ ৫১ (GI – 51), সাম্বা মাশুরি ৫৩(GI -53)।

এই নতুন ধরনের ধান তৈরির জন্য ১৩ টি রাজ্যের কৃষকদের মধ্যে বিতরন করা হবে আগামী খরিফ মরশুমে। এই নতুন ভ্যারাইটিগুলির ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার দরুন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। এই নতুন ভ্যারাইটিগুলির কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সএর মান্যতা দিয়েছে ন্যাশনাল ইনসটিটিউট অফ নিউট্রিশন।

ওয়ার্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের (WHO) এর মতে ভারতে বর্তমানে প্রায় ৬ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই সংখ্যা ২০২৫ সালে ৭ কোটিতে পৌঁছাতে পারে, যা পৃথিবীর অন্য দেশগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রসঙ্গত বেশীরভাগ ভারতীয় দানাশস্যের মধ্যে ভাতকেই বেশী পছন্দ করেন। অথচ ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭০ থেকে ৮০ এর মধ্যে থাকে, যা অন্যান্য দানাশস্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশী।

উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) যুক্ত খাবার খাওয়া ডায়াবেটিসের রোগিদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই বিজ্ঞানীরা চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) ৫০ এর মধ্যে আনার চেষ্টা করেছেন এবং সেই সমস্ত ভ্যারাইটিগুলি অবশ্যই উচ্চফলনশীল।

ডায়াবেটিস হরমোন সংশ্লিষ্ট রোগ। দেহযন্ত্র অগ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয়, তাহলে যে রোগ হয় তা হলো ‘ডায়াবেটিস’ বা ‘বহুমূত্র রোগ’। তখন রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতিজনিত অসামঞ্জস্য দেখা দেয়।

ইনসুলিনের ঘাটতিই হল এ রোগের মূল কথা। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন ইনসুলিন, যার সহায়তায় দেহের কোষগুলো রক্ত থেকে গ্লুকোজকে নিতে সমর্থ হয় এবং একে শক্তির জন্য ব্যবহার করতে পারে। ইনসুলিন উৎপাদন বা ইনসুলিনের কাজ করার ক্ষমতা-এর যেকোনো একটি বা দুটোই যদি না হয়, তাহলে রক্তে বাড়তে থাকে গ্লুকোজ। আর একে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ঘটে নানা রকম জটিলতা, দেহের টিস্যু ও যন্ত্র বিকল হতে থাকে।

সূত্র: কলকাতা২৪


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ