শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


ওমরায় গেলেন কুরআন শিক্ষাদানকারী ভাইরাল আছিয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জীবনের বড় ইচ্ছা ছিলো মক্কা-মদিনা দেখার। কিন্তু সারাদিন কুরআন পড়িয়ে কাটানো গরিব আছিয়া বেগমের সে স্বপ্ন কি পূরণ হবে? এমন প্রশ্ন স্বয়ং আছিয়ার অন্তরেই ছিলো। অবশেষে সে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে আছিয়া বেগমের। আগামীকালই তিনি রওয়ানা হবেন ওমরাহ হজ পালনের উদ্দেশ্যে।

দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষকে কুরআন শিক্ষা দিয়ে আসছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বেলদিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের স্ত্রী আছিয়া বেগম (৮২)।

গত ৫০ বছর ধরে এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিভিন্ন বয়সী ছেলে-মেয়েকে কুরআন শিক্ষা দিচ্ছেন ৮২ বছর বয়সী আছিয়া বেগম।

কিছুদিন আগে আছিয়া বেগমকে নিয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশের এসআই শহিদুল ইসলাম মোল্লা একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন। পরে সেটি ভাইরাল হয়।

ওই ভিডিওটিতে তিনি জানিয়েছিলেন, জীবনের বড় ইচ্ছে পবিত্র কাবাঘর মক্কা-মদিনা যাওয়ার। ফেসবুকের সেই পোস্ট দেখে আছিয়া বেগমের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এসেছেন একই উপজেলার সাদ্দাম হোসেন অনন্ত নামে এক ব্যবসায়ী।

তিনি আছিয়া বেগমকে আগামীকাল শনিবার রাত তিনটায় সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে পাঠাচ্ছেন।

শ্রীপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই শহিদুল ইসলাম মোল্লা জানান, গত বছরের অক্টোবর মাসে সম্পর্কে আমার বড় ভাই আবুল বাশার ঢাকার আশুলিয়া থেকে আছিয়া বেগম সম্পর্কে খোঁজ দেন।

পরে তাকে খুঁজে বের করে তার সঙ্গে দেখা করে অসহায়ত্বের কথা শুনি। এসময় তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ নবীজির রওজা শরীফ দেখার ইচ্ছার কথা জানান।

আমি একটি ভিডিও করে সেটি ফেসবুকে প্রচার করি। প্রচারের পর সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা এগিয়ে আসার কথা জানান। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক সাদ্দাম হোসেন অনন্ত ওই বৃদ্ধের ইচ্ছা পূরণে এগিয়ে এসেছেন।

আছিয়া বেগমের প্রতিবেশী কাওসার আহেমদ জানান, শুধু আমি না, আমার বাবাও তার কাছে কুরআন শিক্ষা নিয়েছেন। এখন আমার ৮ বছর বয়সী সন্তান তানবীর আহমেদও তার কাছ থেকে কুরআন শিক্ষা নিচ্ছে। আমাদের আশপাশে অনেক নারী-পুরুষ তার কাছে কুরআন শিক্ষা নিয়েছে।

আরেক প্রতিবেশী খাইরুল ইসলাম জানান, এলাকার এমন কেউ বাদ নেই যে আছিয়া বেগমের কাছ থেকে কুরআন শিক্ষা গ্রহণ করেননি। দিনের পুরো সময়ই তিনি কুরআন শিক্ষা দিয়ে থাকেন।

ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন অনন্ত জানান, ফেসবুকে আমি ভিডিওটি দেখে ওই নারীর খোঁজখবর নিই। পরে পাসপোর্ট, ভিসা, বিমানের টিকিটসহ যাবতীয় খরচ দিয়ে তাকে ওমরা হজ্বে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই আমি কাজটি করে অনেক আনন্দ পাচ্ছি।

-এমডব্লিউ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ