শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


৬ষ্ঠ ধাপের তালেবান-মার্কিন আলোচনা কোন পথে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ ।। 

যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের তালিবান প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনায় দেশটির সতের বছর ধরে চলা সংকটের অবসানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দূত। তবে তালেবান দাবি করছে কাতারের দোহায় আফগানিস্তানের তালেবান ও মার্কিন সরকারের প্রতিনিধিদের মধ্যে ষষ্ঠ দফা আলোচনাও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে।

আফগান গণমাধ্যম তালেবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আফগানিস্তান বিষয়ক মার্কিন প্রতিনিধি যালমাই খালিলযাদ মার্কিন সন্ত্রাসী সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা করতে রাজি না হওয়ায় ষষ্ঠ দফা আলোচনা থেকেও কোনো ফল বেরিয়ে আসে নি।

মার্কিন প্রতিনিধি তালেবানকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানালে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। তালেবানের বিভিন্ন সূত্র বলছে, আলোচনায় মার্কিন প্রতিনিধিরা এর আগে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেগুলোও তারা বাস্তবায়ন করে নি। এ কারণে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।

এদিকে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহারের সময়সীমার উপর ওয়াশিংটনের বিশেষ শান্তি দূতের সাথে আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মতপার্থক্য কমে আসছে বলে জানায় দোহায় তালেবান মুখপাত্র সোহাইল শাহীন।

তিনি সংবাদ সংস্থা এপিকে দেয়া একটি ভয়েস মেসেজে বলেছেন, উভয় পক্ষই যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর সেনা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। ভিন দেশে আমেরিকার দীর্ঘকালীন সামরিক অবস্থান ও প্রায় ১৮ বছর যুদ্ধ শেষ করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

তিনি ইংরেজি ভাষায় দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘উভয় পক্ষের মধ্যকার দূরত্ব কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য এখনো আরো আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে’।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য তালেবান কর্মকর্তা আগে এপিকে বলেছিলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে আনুমানিক ১৪ হাজার সেনা প্রত্যাহারের জন্য দেড় বছর সময় চেয়েছিল। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার চেয়েছিল তালেবান। কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বক্তব্য রাখেন। কারণ, প্রচার মাধ্যমের সাথে কথা বলার অনুমতি তাদের ছিল না।

এটা এখনো অজানা যে উভয় পক্ষ আলোচনার টেবিলে নতুন কী প্রস্তাব এনেছে। গত বছর ওয়াশিংটনের শান্তি দূত জালমে খালিলজাদকে নিয়োগের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যকার আলোচনা শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহারের আশ্বাস দেয় আর আফগানিস্তানকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলার ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করা হবে না বলে নিশ্চয়তা দেয় তালেবান।

কাতারের দোহায় এ নিয়ে ছয় বার বৈঠকে মিলিত হলো আফগানিস্তানের তালেবান ও মার্কিন সরকারের প্রতিনিধিরা। আফগান সরকারকে বাদ দিয়েই এ আলোচনা হচ্ছে। তবে স্বাগতিক হিসেবে কাতারের কয়েকজন কর্মকর্তাকে থাকতে দেয়া হয়।

আফগান সরকারকে অবৈধ সরকার মনে করে তালেবান। প্রথম থেকেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সন্ত্রাসী সেনা প্রত্যাহারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ