শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

আল্লাহকে পেতে হলে তাহজ্জুদের বিকল্প নেই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি আবদুল্লাহ তামিম

আল্লাহকে পেতে হলে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে নিবীড় সম্পর্ক স্থাপন করা যায়। পৃথিবীর কোনো আল্লাহ ওয়ালা, আল্লাহ ওয়ালা হতে পারেনি তাহজ্জুদ নামাজ আদায় ছাড়া।

হাদিসে কুদসিতে রয়েছে, যে বান্দা আমাকে ভালোবাসার দাবি করে অথচ সারা রাত ঘুমিয়ে কাটায় সে তার দাবিতে মিথ্যাবাদী।

সে কেমন প্রেমিক, তার মাহবুবের মহব্বত কামনা করেন। অথচ আমি তার অপেক্ষায় থাকি। সে যদি তার দাবিতে সত্যবাদী হতো তাহলে অবশ্যই আমার ডাকে সাড়া দিত। অর্থাৎ শেষ রাত্রিতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের জন্য শেষ আকাশে এসে ডাকতে থাকেন। যারা আল্লাহর ভালোবাসা চায় তারা কি তখন ঘুমিয়ে থাকতে পারেন?

অন্য হাদিসে আছে, হজরত আবদুল্লাহ বিন সালাম রা. বলেন, রাসূল সা. যখন মদিনায় তাশরিফ আনেন, তখন প্রথম যে কথাগুলো তার মুখ থেকে শুনি তা হলো- হে লোকজন! ইসলামের প্রচার-প্রসার করো, মানুষকে আহার দান করো।

আত্মীয়তা অটুট রাখো, আর যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকবে তখন তোমরা রাতে নামাজ পড়তে থাকবে। তাহলে তোমরা নিরাপদে বেহেশতে যাবে। (হাকেম, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি)।

রাসূল সা. বলেছেন, ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট নামাজ হলো রাতে পড়া তাহাজ্জুদ নামাজ। (মুসলিম, আহমাদ)। রাসূল সা. যেভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন- কখনও মধ্যরাতে, কখনও তার কিছু আগে অথবা পরে ঘুম থেকে উঠতেন এবং আসমানের দিকে তাকিয়ে সূরা আলে ইমরানের শেষ রুকুর কয়েক আয়াত পড়তেন। তারপর মিসওয়াক ও অজু করে নামাজ পড়তেন। অর্ধ রাতের পরে, রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম।

ফজরের নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত পড়া যায়। তবে ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে এশার নামাজের পর পড়লে তাহাজ্জুদের সুন্নত আদায় হবে। তাহাজ্জুদ নামাজ সর্বনিম্ন দু’রাকাত।

সর্বোচ্চ আট রাকাত পড়া উত্তম। তবে আরও বেশি পড়া জায়েজ আছে। দু’রাকাত দু’রাকাত করে যথাসম্ভব রুকু, সেজদা ও কেরাত লম্বা করে একাগ্রচিত্তে পড়া ভালো। তাহাজ্জুদের নামাজ ঘরে পড়া উত্তম। তবে মসজিদে পড়লেও ক্ষতি নেই। রমজান ছাড়া মাঝে মাঝে জামাতে পড়া জায়েজ আছে। তবে নিয়মিত নয়।

তাহাজ্জুদ শব্দটি আরবি। পবিত্র কুরআনে আছে। তাহাজ্জুদ শব্দটি নিদ্রা যাওয়া ও জাগ্রত হওয়া এ পরস্পরবিরোধী দুই অর্থে ব্যবহৃত হয়।

পবিত্র কুরআনের সূরা বনি ইসরাইলে ৭৯ নং আয়াতের অর্থ রাতের কিছু অংশ কুরআন পাঠসহ জাগ্রত থাকুন।

কুরআন পাঠসহ জাগ্রত থাকার অর্থ নামাজ পড়া। এ কারণেই শরিয়তের পরিভাষায় রাত্রিকালীন নামাজকে তাহাজ্জুদ নামাজ বলা হয়। সাধারণত এর অর্থ এভাবে নেয়া হয় যে, কিছুক্ষণ নিদ্রা যাওয়ার পর যে নামাজ পড়া হয় তাই তাহাজ্জুদের নামাজ।

এ তাহাজ্জুদের মাধ্যমে পেরেশানি থেকে শুরু করে সব ধরণের সমস্যা থেকে সাহাবায়ে কেরাম মুক্তি কামনা করতেন। কারণ রাতের আধারে খুব নিব্রিতিতে আল্লাহকে ডাকা যায়। মন খুলে আল্লাহর কাছে মনের কথাগুলো বলা যায়। তাহজ্জুদের অভ্যাস গড়ে তুলতে আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফিক দান করুন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ