বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
খাদেম-ক্লিনার ও শিক্ষক নিয়োগ দেবে ‘গ্লোবাল এডুকেশন ইনস্টিটিউট’ স্বাধীন দেশে অবৈধ অস্ত্রধারী সংগঠন থাকবে না: র‍্যাব মহাপরিচালক  মার্চে ৫৫২ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৬৫, আহত ১২২৮ ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপ পুতিনের তেজগাঁও আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া বায়তুল আমান মাদরাসায় ভর্তি শুরু আগামীকাল   ইরানের হামলার জন্য নেতানিয়াহুই দায়ী: এরদোগান ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৪, ট্রাকচালক আটক ইসরায়েলে হামলার বিষয়ে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে পালালেন স্ত্রী ইরান-ই’সরায়েল যুদ্ধের পরিস্থিতির আলোকে প্রস্তুতি নিতে মন্ত্রীদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

২০ মাসে জন্ম দেড় লক্ষ শিশুর, গর্ভবতী নারী ৩৫ হাজার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: দেশের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যার চাপ অনেক বেশি। আবার এর মধ্যে প্রবেশ করেছে নতুন জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গা শরণার্থী। যার অধিকাংশই নারী।

রোহিঙ্গা অশিক্ষিত মুসলিমরা ধর্ম বিশ্বাসের কারণে আগ্রহ নয় জন্ম নিয়ন্ত্রণে। এতে করে তাদের ভাসমান জীবনে থেমে নেই অরক্ষিত যৌন সঙ্গম। ফলশ্রুতিতে জন্ম নিচ্ছে হাজার হাজার শিশু।

যার পুরো চাপটাই এসে পড়ছে আশ্রয়দাতা দেশ বাংলাদেশের ওপর। বন জঙ্গল উজাড় করে যেমন তারা হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করছে, তেমনি গণহারে শিশু জন্ম দিয়ে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের এক মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলছে বাংলাদেশকে। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো যুক্ত হচ্ছে মারাত্মক সংক্রামক সব রোগ!

সরকারি হিসাবমতে জানা যায়, গত ২০ মাসে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে জন্ম নিয়েছে দেড় লক্ষেরও বেশি শিশু। আর বর্তমানে গর্ভবতী আছেন আরও ৩৫-৩৬ হাজার নারী। তবে বেসরকারি হিসাবমতে এ সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

রোহিঙ্গাদের এ জন্মের হার এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের সংখ্যা সে বিষয় নিয়ে চিন্তিত কক্সবাজারের স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন করা না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে বলে তাদের আশঙ্কা।

কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যম্পের ইউনিসেফ সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক তাদের ঢাকা হেড অফিসের জরিপে গত এক বছরে ৬০-৭০ হাজার শিশু নবজাতক জন্মগ্রহণ করে। এদিকে গত বছর কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিস ১৮-২০ হাজার গর্ভবর্তী নারী সনাক্ত করেছেন।

তবে তারা বলছেন চলতি বছরের ডিসেম্বরে ১ লক্ষ শিশু জন্মগ্রহণ করতে পারে। একটি বেসরকারি এনজিও সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন গবেষণা করে বলছেন কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো প্রতিদিন ১৩০জন শিশু জন্ম গ্রহণ করছেন।

কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, অনেক ভয় আশঙ্কার মধ্যে দিনতিপাত করছি। এখানকার ভবিয্যতের কথা চিন্তা করলে প্রায় সময় চোখে জল চলে আসে। এই রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে কিভাবে আমরা মুক্তি পাব তা ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছি না।

ইতোমধ্যে রোহিঙ্গারা স্থানীয়দের পাহাড় পর্বত জমি-জায়গা দখল করতে শুরু করছে। অন্যদিকে অপরাধ চক্রের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে জনসংখ্যা।

কি যে এক ভয়াভহ পরিস্থিতিতে বসবাস করছি তা বুঝে উঠতে পাচ্ছি না। যে হারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপরাধ বাড়ছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার।

সেভ দ্য চিলড্রেন মিডিয়া তদারককারি ম্যানেজার ইভান শারম্যান বলেন, কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে ২০১৯ সালের শেষের দিকে গিয়ে প্রায় ১ লক্ষ নবজাতক শিশু জন্মগ্রহণ করবে। এমনটাই ধারণা করছি আমরা। এমনিতেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে গাদাগাদি এসব শিশু জন্ম নিলে আরো গাদাগাদি বেড়ে যাবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ