শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

অপারেশনের পর পেটে কাপড় রেখেই সেলাই; আলেমার মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: চট্রগ্রাম চন্দ্রনগর মেরিন সিটি মেডিকেলে সিজার শেষে ডেলিভারি রোগীর পেটে রক্ত মোছার কাপড় (ব্লাড রিমুভার) রেখেই সেলাই করে দেওয়ার কারণে মারা গেছেন আলেমা উম্মে হাবীবা (সাইমা)।

তিনি চট্টগ্রাম মহিলা মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান, হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা মহিলা মাদরাসার পরিচালক ও আল মাহমূদ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাওলানা মাহমুদুল হক এর কনিষ্ট কন্যা।

জানা যায়, ফটিকছড়ি উপজেলার মাইজভান্ডার আমতলী এলাকার বাহাউদ্দীন চৌধুরী বাড়ির মোহাম্মদ মোক্তার হোসেনের স্ত্রী আলেমা উম্মে হাবীবা (সাইমা) গত ৩১ মে চট্রগ্রাম চন্দ্রনগর মেরিন সিটি মেডিকেলে ডেলিভারি রোগী হিসেবে ভর্তি করান এবং ওই দিনই তিনি সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন।

রোগীর অস্বাভাবিকতার পরও গ্যাসের ওষুধ দিয়ে রোগীকে রিলিজ দিয়ে দেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও পেটব্যথা কমছিল না এবং দিনদিন অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছিল।

এক পর্যায়ে রোগীর ভাসুর চট্টগ্রাম জেন্যারেল হসপিটাল, আন্দরকিল্লাহ এর হার্ড বিশেষজ্ঞ ডা. এমরান হোসেন ও তার স্ত্রী তাকে চট্টগ্রামের সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করান।

সেখানে ডাক্তাররা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পেটের ভেতর কিছু একটা দেখতে পান এবং পুনরায় অপারেশনের প্রয়োজনীয়তার কথা রোগীর স্বজনদের জানান।

অপারেশন শেষে দেখা যায়, মেরিন সিটি মেডিকেলে সিজারের পর পেটের ভেতর রক্ত মোছার কাপড় (গজ) রেখেই সেলাই করে দিয়েছিলেন ডাক্তার জাকেয়া সুলতানা। অপারেশনে অংশ নেওয়া ডাক্তাররা পেট থেকে বের করে আনা কাপড়গুলো রোগীর উপস্থিত স্বজনদের দেখান।

অপারেশনের পর রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকলে রোগীকে সেখানকার আইসিইউতে ভর্তি করা হয় এবং সেখানেই ১৪ জুন ভোর ৫ টায় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

এদিকে তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে স্বামীর পরিবার শোকে অনেকটা স্তব্ধ ও বাকরুদ্ধ হয়ে আছেন। স্বামী খোকন প্রথমে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা না বললেও পরে একসময় এসে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন এবং কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্ত্রী হত্যার বিচার আল্লাহর কাছে দিলাম।

আমার নিষ্পাপ সন্তানকে যারা এতিম করেছেন, তাদের বিচার আল্লাহ করবেন। এভাবে আর কেউ যেন আমার মতো স্ত্রী হারা আর অবুঝ শিশু মা হারা না হয়।”

ভূমিষ্ট হওয়া শিশুকন্যার নাম রাখা হয়েছে বুশরা। তাকে আপাতত নানা বাড়িতে রাখা হয়েছে। তার কান্না থামানো যাচ্ছে না। সেখানেও শোকের মাতম চলছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী অভিযুক্ত ডাক্তারের শাস্তি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছে।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ