শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


দাওরায়ে হাদীস পরীক্ষা পদ্ধতিতে আসছে পরিবর্তন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ
যুগ্ম বার্তা সম্পাদক

মাদরাসা শিক্ষার মানোন্নয়ন ও  যুগোপযোগী শিক্ষা পদ্ধতি উপহার দিতে কাজ করে যাচ্ছে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ অথরিটি  ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে দাওরায়ে হাদীসের (তাকমিল) পরীক্ষার্থীদের ভর্তি ও পরীক্ষা পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনছে হাইআতুল উলয়া। এ লক্ষ্যে সাত সদস্যের সাব-কমিটিও গঠন করেছে সংস্থাটি।

২২ জুন (শনিবার) রাজধানীর জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুমে (ফরিদাবাদ মাদরাসা) সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গার সভাপতি মুফতি রুহুল আমিনকে আহবায়ক করা হয়। অন্যান্য সদস্যরা হলেন- মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা নুরুল আমিন, মাওলানা এনামুল হক।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্রে জানা যায়, সাত সদস্যের নতুন এ কমিটি দীর্ঘ পর্যালোচনার মাধ্যমে হইয়াতুল উলইয়ার পরবর্তী বৈঠকে পরীক্ষা পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার সুপারিশ করবে। সাব কমিটির সুপালিশের ভিত্তিতে পরবর্তী বৈঠকে বিভিন্ন পরিবর্তন আনা হবে।

তবে দাওরায়ে হাদীস পরীক্ষার্থীদের ৬টি কওমি মাদরাসাভিত্তিক শিক্ষাবোর্ডের যে কোন একটি বোর্ড থেকে মেশকাত জামাতের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে- এমন সিদ্ধান্তে বহাল হাইয়া কর্তৃপক্ষ। চলতি বছর থেকে দাওরায়ে হাদীস পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করার সময় প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করবে সংস্থাটি।

ইতিপূর্বে দাওরায়ে হাদীস শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাপূর্বক রেজিস্ট্রেশন ও আবেদন প্রক্রিয়ায় শিথীলতা থাকলেও  চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে কঠোরতা অবলম্বন করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এখন থেকে পরীক্ষার্থীদের পৃথক পৃথক ফরম পূরণ করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ফরমের সাথে  ছবি ও (ফজিলত) মেশকাত জামাতের মার্কশিট যুক্ত করতে হবে। পরবর্তীতে হাইয়াতুল উলইয়া কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে পরীক্ষার্থীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে যে তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে কিনা।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর থেকে অনিয়মিত ছাত্ররা দাওরায়ে হাদীস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না বলে ফরিদাবাদের ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। কোন ধরণের ভর্তুকি দিয়েও তারা পরীক্ষা অংশ নিতে পারবে না। এছাড়াও, প্রশ্নফাঁসরোধ ও পরীক্ষা পদ্ধতিকে যুগোপযোগী করে তুলতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংস্থাটি।

বৈঠকে আগামী ২৯ শাওয়াল (৩ জুলাই ) বুধবার ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র অধীনে অনুষ্ঠিত দাওরায়ে হাদীস (তাকমিল) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে বলে তারিখ ঘোষণা করা হয়।

অন্যান্যদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র কো চেয়ারম্যান মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আযহার আলী আনোয়ার শাহ, মাওলানা আব্দুল হালিম বুখারি,  মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া,  মাওলানা নুরুল হুদা ফয়জী, মাওলানা আব্দুর রহিম, মাওলানা আব্দুর রশিদ, মাওলানা শামসুদ্দিন জিয়া, মুফতি ফয়য়জুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল হামিদ (মধুপুরের পীর), মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা তাজুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা মুসলেহুদ্দিন রাজু, মাওলানা মুশতাক আহমদ( খুলনা), মাওলানা উবাইদুর রহমান মাহবুব, মাওলানা নুরুল আমিন, মুফতি এনামুল হক, মাওলানা এনামুল হক প্রমুখ।

আরএম/

 


সম্পর্কিত খবর