শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


ভারতে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ভারতের মুসলমানদের ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করতে মুসলমানদের পেটানো হচ্ছে, পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। গো রক্ষার নামে ভারতীয় মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে। বিজিপি সমর্থকরা সেদেশে ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। এসব নির্মম হত্যাকান্ড কোনভাবেই বরদাশত করা যায় না।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে এ নির্যাতন ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানোর দাবী জানাচ্ছি। অবিলম্বে ভারতে মুসলিম নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। একই সাথে ভারতের মুসলিম নির্যাতন হত্যার বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হতে হবে।

শুক্রবার (১২জুলাই) ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের অব্যাহত আক্রমন, হত্যা নির্যাতনের প্রতিবাদে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে ঢাকা মহানগরী সভাপতি শেখ গোলাম আসগরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী।

মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ সরকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছে ভারতের সাথে তাদের সম্পর্ক নাকি আকাশচুম্বী। কিন্তু সরকারের জমিনের খবর নেই। পার্শবর্তী দেশ ভারতে মুসলমানদের পিটিয়ে মারা হচ্ছে অথচ তার নূন্যতম প্রতিবাদ করা হচ্ছে না। অবিলম্বে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ভারতে মুসলিম হত্যা নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করতে হবে।

মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী বলেন, বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে মুসলমানরা রক্ত দিয়ে উপমহাদেশের স্বাধীনতা এনেছে। মুসলমনারা ৬শ’ বছর ভারতবর্ষ শাসন করেছে, কোন বিধর্মীদের উপর নির্যাতন হয়নি। কিন্তু আজ মুসলমানদের উপর অত্যাচার নির্যাতন কেন ভারত সরকারকে তার জবাব দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে শেখ গোলাম আসগর বলেন, ভারী বর্ষণের মধ্যে এ সমাবেশ সকলের উপস্থিতিতে প্রমানিত হয়েছে ভারতের মুসলমানরা একা নয়। সারা বিশ্বের মুসলমান নিযর্তিত মুসলমানদের পাশে আছে। সুতরাং ভারত সরকারকে অবিলম্বে মুসলিম নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তা না হলে বিশ্বের দেড়শ’ কোটি মুসলমান ঐক্য ও ঈমানী শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হবে।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, এডভোকেট মোঃ মিজানুর রহমান, অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল জলিল, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরীর যুগ্মসম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, সহসাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, হুমায়ুন কবির আজাদ, হাজী হারুনূর রশীদ, কাজী আরিফুর রহমান, আমীর আলী হাওলাদার, গিয়াস উদ্দিন ছাত্র মজলিস নেতা মুহাম্মদ শাহীন, আজীজ উল্লাহ আহমদী, কে এম ইমরান হোসাইন, মাওলানা সাইফুল্লাহ সাহল প্রমুখ।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ