শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


বাবরি মসজিদ নিয়ে মধ্যস্থতাকারীরা ব্যর্থ, ৬ অগাস্ট থেকে শুনানি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বাবরি মসজিদ নিয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তিন সদস্যের মধ্যস্থতাকারী প্যানেল। সেই প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু এখনো জানা যায়নি। মধ্যস্থতাকারীরা বলছেন, অযোধ্যা বিতর্কে জড়িত নানা পক্ষের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ শুক্রবার রিপোর্টটি পড়ে। পরে বাবরি মসজিদ বিতর্ক মামলায় আগামী ৬ অগাস্ট থেকে শুনানি শুরু হবে বলে জানান।

হিন্দুদের দাবি, অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানে রামচন্দ্রের জন্ম হয়েছিল। সেখানে রামচন্দ্রের একটি মন্দিরও ছিল। সেই মন্দির ভেঙে ১৬ শতকে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের কর্মীরা ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর সেই মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।

২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেয়, বিতর্কিত জায়গাটি সমান তিন ভাগ করে হিন্দু, মুসলমান ও নির্মোহী আখড়ার হাতে দেওয়া হোক। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হিন্দু ও মুসলমান উভয় পক্ষই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে।

অযোধ্যা বিতর্ক আদালতের বাইরে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট গত ৮ মার্চ তিন সদস্যের মধ্যস্থতাকারী প্যানেল তৈরি করে। প্যানেলের শীর্ষে আছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এফ এম আই কলিফুল্লা। অপর দুই সদস্য হলেন প্রবীণ অ্যাডভোকেট শ্রীরাম পঞ্চু ও আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশংকর।

প্রাথমিকভাবে প্যানেলকে ১০ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। কিন্তু তার আগে প্যানেল কোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন দেয়। তাতে সুপ্রিম কোর্ট প্যানেলের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত। ঠিক করা হয়, প্যানেল চূড়ান্ত প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত আদালতে অযোধ্যা মামলার শুনানি বন্ধ থাকবে।

এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে একটি পক্ষ জানায়, মধ্যস্থতাকারীদের প্যানেল এই বিতর্কের সমাধানে কোনো অগ্রগতি ঘটাতে পারছে না। তখন সুপ্রিম কোর্ট প্যানেলকে নির্দেশ দেয়, ৩১ জুলাই অথবা ১ আগস্ট আমাদের জানাতে হবে, মধ্যস্থতার প্রক্রিয়া কেমন এগোচ্ছে। তার ভিত্তিতে আমরা ঠিক করব, এর পরে কী করা যায়।

সে অনুসারে বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা পড়েছে। যারা রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন, তাদের মধ্যে প্রধান বিচারপতি বাদে আছেন বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এস আবদুল নাজির।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ