শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


আজ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে রাসুল সা. যুগের ঐতিহাসিক ওকাজ মেলা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম

হাজার হাজার বছরের পুরোনো ঐতিহ্য সৌদি আরবের ওকাজ মেলা এ বছর উদ্বোধন করবেন মক্কার গভর্নর প্রিন্স খালিদ আল-ফয়সাল। প্রতি বছর এ মেলাটি উদ্বোধন করেন বাদশাহ সালমান।

আল আরবিয়া ডট নেটের বরাতে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার ওকাজ মেলাটি উদ্বোধন করা হবে। সৌদি আরবের জেনারেল অথরিটি ফর ট্যুরিজম এন্ড কালচারের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং পর্যটন মৌসুমের জন্য গঠিত কমিটির চেয়ারম্যান আহমদ আল-খতিবসহ এতে দেশ-বিদেশের মন্ত্রী, কূটনীতিক ও প্রধান ব্যক্তিবর্গ অংশ নেবেন।

উল্লেখ্য, জাহেলি যুগের কুসংস্কারাচ্ছন্ন আরববাসী নৈতিক ও সামাজিক অধঃপতনের চরম সীমায় পৌঁছালেও তাদের কতগুলো প্ৰশংসনীয় চারিত্রিক গুণ ছিল।

এগুলোর মধ্যে বাগিতা এবং কাব্যপ্ৰেম অন্যতম। পরবর্তীকালে এ কাব্যপ্রেম ও বাগিতাকে কেন্দ্র করেই সূচনা হয় ওকাজ মেলার। প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ে মক্কার অদূরে অবস্থিত ওকাজ নামক স্থানে কবিতা পাঠের যে মেলা বসত, সেটাই ইতিহাসে ওকাজ মেলা নামে পরিচিত।

১৫০০ শত বছরের পুরানো এ মেলায় কবিতা পাঠের প্রতিযোগিতা হতো এবং বিজয়ী কবিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হতো। বিজয়ী কবিদের কবিতা তাদের নামসহ কাবাগুহের দেয়ালে বুলিয়ে রাখা হতো। এটা যেন আজকালকার দেয়াল পত্রিকার মতাে।

কাবাগৃহের ‘সাবআ মুআল্লাকা’। যেহেতু এগুলো কাবাঘরের দেয়ালে বুঝিয়ে রাখা হয়েছিল, তাই এগুলোকেসাবআ মুআল্লাকা বা সপ্ত-ঝুলন্ত কবিতা বলা হতো। কবিতা ছিল আরবদের নাগরিক জীবনের প্রতিচ্ছবি। তাই কবিতা পাঠকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ওকাজ মেলা। ওকাজের মেলা জাহেলি যুগের আরবদের স্মরণীয় উৎসব অনুষ্ঠানের একটি।

ঐতিহাসিক হিট্টি । ওকাজ মেলাকে প্রাচীন আরবের (একাডেমিক ফ্রেঞ্চাজ) বলে অভিহিত করেছেন। মূলত ওকাজ মেলা আরবদের একটি ধমীয় উৎসব ছিল, যা সাংস্কৃতিক পর্যায়ের রূপ নেয়।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা, এসপিএ অনুযায়ী ট্যুরিজম অ্যান্ড ন্যাশনাল কালচার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেছেন যে মক্কার গভর্নর খালিদ আল-ফয়সাল উদ্বোধন করবেন। জাতীয় ঐতিহ্য রক্ষায় তার জোর রয়েছে। কবিতা, আরব সভ্যতা, কলা ও সংস্কৃতি এবং ইসলামী ইতিহাসের প্রতি প্রিন্স খালিদ আল-ফয়সালের গভীর নজর রয়েছে।

আল-খতিব বলেন, এবারের ওকাজ মেলা অতীতের মতো নয়, এবারের উৎসবের উপস্থিতি সংখ্যা নতুন রেকর্ড তৈরি করবে। বিভিন্ন শিল্পকলা প্রদর্শনের পাশাপাশি এ মেলায় আরব বিশ্বের সংস্কৃতি, বিশেষত সৌদি আরবের বৈশিষ্ট্যযুক্ত খাবারগুলিও সরবরাহ করা হবে।

১১ টি আরব দেশের শিল্পীরা অংশ নেবেন। এছাড়াও, ইয়ুথ অফ এক্সিলেন্স, ফারসান ওকাজ, ভাষা আর্ট গ্যালারী, সংগীত গ্যালারী, বাড়ির তৈরি প্রদর্শনী, হোটেল ক্যাফে ও ২৮০০ লোকের বসার ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বিশাল থিয়েটারও থাকবে এ মেলায়। সূত্র: আল আরাবিয়া ডটনেট।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ