বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


আজানের সময় যে আমল করা সবার জন্য জরুরি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আজান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুরধ্বনি। মুয়াজ্জিন প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য আজান দেয়। মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে আজান মহান আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা। আজান নামাজের জন্য ডাক দিয়ে যায়। মুয়াজ্জিন যখন আযান দেয়, তখন সবার জন্য ৪টি আমল করা জরুরি।

১. আজানের জবাব দেয়া। মুয়াজ্জিন যে শব্দগুলো বলেন, তা হুবহু উচ্চারণ করা। তবে হাইয়া আলাস সালাহ এবং হাইয়া আলাল ফালাহ বলার পর লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলতে হবে।

হাদিসে এসেছে- হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা যখন আজান শুনবে, তখন মুয়াজ্জিন যা বলবে, তোমরাও তাই বলো। (বুখারি)

অন্য হাদিসে এসেছে- হজরত মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছি ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ এবং ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ বলার পর ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলতে হবে। (বুখারি)

২. আজান শেষে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরূদ পড়া।

হাদিসে এসেছে- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুয়াজ্জিনের আজান শুনে তোমরা হুবহু শব্দগুলো বলো। এরপর আমার ওপর দরূদ পাঠ করো। যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশটি রহমত বর্ষণ করবেন। (মুসলিম)

৩. তাওহিদ ও রেসালাতের সাক্ষ্য দেয়া।

তাওহিদের সাক্ষ্য দেয়া। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং দ্বীনের প্রতি সন্তুষ্টি ঘোষণা করা। হাদিসে এসেছে- হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন; রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুয়াজ্জিনের আযান শুনে যে ব্যক্তি বলবে- أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا

উচ্চারণ: আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা শারিকা লাহু, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু; রদিতু বিল্লাহি রব্বাও ওয়া বিমুহাম্মাদিন রাসুলাও ওয়া বিল ইসলামি দ্বীনা।

তার জীবনের সব গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (মুসলিম)

৪. আজানের পর দোয়া করা। কেননা আজানের পর দোয়া কবুল হয়।

হাদিসে এসেছে- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! মুয়াজ্জিন আজান দিয়ে আমাদের চেয়ে বেশি ফজিলত পেয়ে যাচ্ছে। আমরা কী করব?

রাসুলুল্লাহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমিও হুবহু মুয়াজ্জিনের মতো বলো। আজান শেষ হলে আল্লাহর কাছে (প্রার্থনা কর) চাও, তোমার দোয়া কবুল করা হবে। (আবু দাউদ)

ইসলামি বিধি-বিধান জানতে পড়ুন বেহেশতী জেওর

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ