রকিব মুহাম্মদ : ঢাকার মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে অবস্থিত জামিয়া বায়তুল আমান মিনার মসজিদ মাদরাসার রান্নাঘরের জমি আবারও ফিরে পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত আসেনি।
গত ৩ সেপ্টেম্বর মাদরাসার রান্নাঘর ভাঙা নিয়ে দ্বিতীয় দফায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সে সময় ডিএনসিসির ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম রতন ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের মাঝে একটি সমাঝোতা হয়। উভয়পক্ষ একমত হয়, মেয়র আতিকুল ইসলাম দেশে ফিরে এলে আবার বৈঠক হবে, মেয়রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সবকিছু চূড়ান্ত হবে।
এদিকে, গতকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে যে জামিয়া বায়তুল আমান মিনার মসজিদ মাদরাসার রান্নাঘরের জমি কর্তৃপক্ষ ফিরে পেয়েছে। সেখানে পুনরায় রাান্নাঘর তৈরির জন্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ইটও নিয়ে এসেছে। তবে এ সংবাদকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি আব্দুল হান্নান।
তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন,‘ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদ রিয়াজ ফেসবুকে লাইভ করে বলে,‘ মাদরাসার জমি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে সেখানে নতুন করে রান্নাঘরের কাজ শুরু করা হবে।’ এই লাইভকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।’
‘এখনও মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তবে আমরা আশা করছি রান্নাঘরের জায়গা ফিরে পাব।’ যোগ করেন মুফতি আব্দুল হান্নান।
রান্নাঘরের জমি নিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মাদরাসার সিনিয়র এ শিক্ষক বলেন, ‘মসজিদ ও মাদরাসা কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিষ্পত্তির ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। ’
এদিকে মাদরাসার রান্নাঘর ভেঙে দেওয়ার কারণে ছাত্র-শিক্ষকদের খাবারের ব্যবস্থা করতে এখনও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানা যায়। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, রান্নাঘরের জায়গাটি আবারও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। স্থানীয় এলাকবাসীও এ বিষয়ে একটি সুষ্ঠু সমাধান চায় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মাঠ ও পার্ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তাজমহল রোড মাঠেরও সৌন্দর্যবর্ধন ও সংস্কার কাজের অংশ হিসেবে তাজমহল রোডের সি-ব্লকের খেলার মাঠ ও পার্কের পাশে অবস্থিত মাদরাসার রান্নাঘরটি উচ্ছেদ করা হয়।
পরে ৩ সেপ্টেম্বর খবর ছড়িয়ে পড়ে, রান্নাঘরের জায়গা ফের দখলে নিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ডিএনসিসির বুলডোজার গেলে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামাল দিতে ডিনএনসির ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম রতন ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে সমঝোতার উদ্যোগ নেয় তারা। দীর্ঘ বৈঠক শেষে উভয়পক্ষ একমত হয়, মেয়র আতিকুল ইসলাম দেশে ফিরে এলে আবার বৈঠক হবে। মেয়রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদ রিয়াজের ফেসবুক লাইভ
https://www.facebook.com/1747440765529959/videos/2385072414904347/
আরএম/