আওয়ার ইসলাম: আদালতে নির্দেশের পর ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল স্থগিত করেছেন ছাত্রদলের কাউন্সিল সম্পন্ন করার জন্য গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু শনিবার দেশ রূপান্তরকে বলেন, আদালতের নির্দেশের কারণে আপাতত কাউন্সিল স্থগিত থাকবে। আদালতের ফয়সালা পাওয়ার পর নতুন করে কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইতিপূর্বে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী শনিবার ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার কারণে স্থগিত হয় তা।
তবে সকাল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। তারা সকাল থেকে থেমে থেমে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বিএনপির কার্যালয়ের চতুর্থ তলায় ছাত্রদলের কক্ষ এ সময় তালাবদ্ধ ছিল। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা কার্যালয়ে আসেননি।
‘ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. আমান উল্লাহ মামলা করলেও এর পেছনে সরকারের ইন্ধন আছে’ এমন অভিযোগ করে ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ দেশ রূপান্তরকে বলেন, সরকার মনে করেছিল ছাত্রদলের কাউন্সিল বাধাগ্রস্ত হলে নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে। কিন্তু এতে দলের নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙেনি বরং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আরো ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কাউন্সিল সাময়িক স্থগিত হলেও থেমে থাকবে না।
আরেক সভাপতি প্রার্থী হাফিজুর রহমান বলেন, কাউন্সিল স্থগিত সরকারের ষড়যন্ত্র। এতে করে ছাত্রদলের কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং ছাত্রদলের ঐক্য আরও সুদৃঢ় হবে।
তিনি বলেন, তৃণমূলের প্রত্যাশা যে কোনো মূল্যে কাউন্সিল করা দরকার। সব বাধা-বিপত্তি দূর করে শিগগিরই তৃণমূলের নেতাদের ভোটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নির্বাচিত করতে হবে।
আরএম/