শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


ছুটির সময় মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এই ৩টি কাজ করতে পারেন!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফয়িান ফারাবী
বিশেষ প্রতিবেদক

কওমি মাদরাসাগুলোতে প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ছুুটি চলছে। ছাত্রদের মনে উল্লাস। অধিকাংশই দীর্ঘ সময় পর ছুটি কাটাতে বাড়ি অবস্থান করছেন।  ছুটির সময়টাও একদম কম নয়। দীর্ঘ এক সপ্তাহ। এ সময়টাকে অবহেলায় নষ্ট না করে আত্মউন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করার পরামর্শ দিলেন জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার নাজেমে তালিমাত (শিক্ষা সচিব) মুফতি মকবুল হুসাইন

ছুটির সময় ছাত্ররা সমাজ ও আত্মউন্নয়নের জন্য সাধারণ মানুষকে কুরআন শিক্ষা দেওয়া ও দিনের কথা শোনানো, দাওয়াত ও তাবলীগের সাথে সময় দেয়া, পড়াশোনার দুর্বলতাগুলো নির্দিষ্ট করে বিষয়বস্তুর ওপর আলাদা মনোযোগী হওয়ার কথা বললেন তিনি।

১. ইলমের সাথে সাধারণ মানুষের কিছু হক রয়েছে। মাদরাসা ছাত্র এবং শিক্ষকদের জন্য বিশেষ একটি দায়িত্ব হলো জনসাধারনের মাঝে দিন পৌঁছে দেয়া। যারা কুরাআন পড়তে পারেন না, তাদের কুরআন শেখানো। মাস বিভিন্ন প্রয়োজনীয় মাসাইল সম্পর্কে অবহিত করা। এগুলো মাদরাসার ছাত্র এবং শিক্ষকদের উপর অলিখিত দায়িত্ব।

প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষের কাছে দীনি কার্যক্রম নিয়ে পৌঁছতে পারলে মানুষ তা সাদরে গ্রহণ করবে। এর মাধ্যমে ওলামায়ে কেরাম তাদের দায়িত্ব থেকে সামান্য পরিমাণ অব্যাহতি পাবেন।

একটি আদর্শ সমাজ এবং রাসূলের আদর্শে অনুপ্রাণিত সমাজ গড়তে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে হয় উলামায়ে কেরামদের। সুতরাং মানুষদেরকে কোরআন শিক্ষা দেয়া এটা আমাদের ওপর আরোপিত দায়িত্ব। কেয়ামতের দিবসে আমাদেরকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।

২. দাওয়াত ও তাবলীগের সাথে সময় দেয়া। দাওয়াত ও তাবলীগের চলমান সঙ্কটের কারণে দিন দিন এর কার্যক্রম কমে আসছে। মানুষের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। যার ক্ষতি পূরণ হবার নয়। যেহেতু দাওয়াত ও তাবলীগের সবচেয়ে বেশি দায়িত্ববান ওলামা কেরাম, তাই চলমান সংকট নিরসনে আবারো তাবলীগের সাথীদের  ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে মাদরাসার ছাত্র এবং শিক্ষকগণ তিন দিনের জন্য জামাতে বের হতে পারেন।

নিঃসন্দেহে মানুষের কাছে আল্লাহ ও রাসূলের সা.-এর বাণী পৌঁছে দেয়ার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে দাওয়াত ও তাবলীগ। সুতরাং সবচেয়ে বেশি ভালো হয় যদি অন্ততপক্ষে তিন দিন সময় তাবলীগের জন্য বের করা যায়। আমি আশা করছি এর মাধ্যমে মানুষের মধ্য থেকে ভ্রান্তিগুলো দূর হবে।

৩. আত্ম-উন্নয়নের লক্ষে ফন্নী বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করা। যে সকল বিষয়ে দুর্বলতা রয়েছে সে সকল বিষয় সামনে রেখে নির্দিষ্ট পড়াশোনার মাধ্যমে দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করা।

যেমন কারো যদি নাহূ কিংবা হরফে দুর্বলতা থেকে থাকে, তাহলে সে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কোন ওস্তাদের তত্ত্বাবধানে থেকে পড়াশোনা করতে পারেন। এরকমভাবে দুই থেকে তিনটি বন্ধ সময়কে কাজে লাগাতে পারলে আস্তে আস্তে সকল বিষয়ে পারদর্শিতা অর্জন করা যাবে।

আরএম/

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ