শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


যে মসজিদ থেকে আফ্রিকা মহাদেশে সর্বপ্রথম আজান হয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: আফ্রিকার উত্তর উপকূলে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত রাষ্ট্র তিউনিসিয়া। দেশটির পূর্ব উপকূলে অবস্থিত তিউনিস দেশের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। আয়তনের দিক থেকে তিউনিসিয়া অন্যান্য উত্তর আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলির তুলনায় খর্বাকৃতির। তিউনিসিয়া আফ্রিকার উত্তরতম দেশ।

তিউনিসিয়ার একটি বিখ্যাত মসজিদের নাম কাইরুয়ান জামে মসজিদ। ৫০ হিজরি সালে সাহাবি হজরত মুয়াবিয়া (রা.)-এর অন্যতম সামরিক কমান্ডার উকবা বিন নাফি (রহ.) ৯ হাজার বর্গমিটার জায়গার ওপর মসজিদটি নির্মাণ করেন।  এ মসজিদটি থেকেই সর্বপ্রথম আফ্রিকায় আজানের ধ্বনি শোনা যায়।

১৮৮১ সাল থেকে তিউনিসিয়া ফ্রান্সের একটি উপনিবেশ ছিল। ১৯৫৬ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। প্রায় সব তিউনিসীয় নাগরিক মুসলিম।

কাইরুয়ান জামে মসজিদের ভেতরের অংশ

তিউনিসিয়া পর্যটকদের একটি জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল। রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া, নয়নাভিরাম বেলাভূমি, বিচিত্র ভূ-প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী, সাহারার মরূদ্যান এবং সুরক্ষিত প্রাচীন রোমান প্রত্নস্থলগুলো বিখ্যাত।

তিউনিসিয়ার কাইরুয়ান শহরও প্রতিষ্ঠা করেন উকবা বিন নাফি। তিনি এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন বলে কাইরুয়ান জামে মসজিদকে উকবা জামে মসজিদও বলা হয়। এই মসজিদ থেকে আফ্রিকা মহাদেশের প্রথম আজান উচ্চারিত হয়েছিল বলে- ইসলামের ইতিহাসে এটির গুরুত্ব অপরিসীম।

শুরুতে এই মসজিদের আয়তন ছিল অনেক ছোট এবং অত্যন্ত সাধাসিধেভাবে মসজিদটি তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সময়ের পরিক্রমায় বিভিন্ন শাসনামলে মসজিদের আয়তন ও শান-শওকত বৃদ্ধি পায়।

তিউনিসিয়ার কাইরুয়ান জামে মসজিদ

মসজিদটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, বাইরে থেকে এটি দেখলে মনে হবে একটি শক্তিশালী দুর্গ মসজিদটিকে বেষ্টন করে রেখেছে।

কাইরুয়ান মসজিদে ৫টি গম্বুজ ও ৯টি প্রবেশ দ্বার রয়েছে। এই মসজিদের মেহরাবের কাছে নীচু ছাদবিশিষ্ট আরেকটি কক্ষ রয়েছে। যার নাম মাকসুরা। তিউনিসিয়া আফ্রিকার উত্তর উপকূলে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত রাষ্ট্র। দেশটির পূর্ব উপকূলে অবস্থিত তিউনিস দেশের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। সূত্র: উইকিপিডিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ