বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

'সুপ্রিম কোর্ট উগ্র হিন্দুত্ববাদের সহযোগীর ভূমিকায় নেমেছে'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির প্রতিষ্ঠার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়কে পক্ষপাত দুষ্ট সাম্প্রদায়িক রায় উল্লেখ করে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা আব্দুল মুমিন শায়েখে ইমামবাড়ি ও মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, এ রায় প্রদানে আইনের ন্যূনতম নীতি অনুসরণ করেনি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বরং এই রায়ে অকাট্য প্রমাণ ও প্রামাণ্য দলীল ছাড়া বেআইনীভাবে উগ্র হিন্দুত্ববাদিদের স্বপ্ন পুরণ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, যেখানে প্রায় পাঁচ শ' বছর একটা মসজিদ বিদ্যমান ছিল। উগ্রপন্থী হিন্দুত্ববাদিরা ১৯৯২ সালে সেই মসজিদকে সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়ে ভেঙ্গে দিল। এখন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে দিল, সেখানে মন্দির হবে।

এটা কী করে বিচারিক রায় হতে পারে? এটা তো ঘটনা পরম্পরা শত শত বছরের পুরনো একটা ঐতিহ্যবাহী মসজিদকে গায়ের জোরে আইনী রূপ দিয়ে জবর দখলে নেয়ার সাজানো ষড়যন্ত্র। এই রায়ের মধ্য দিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টও সেই ষড়যন্ত্রে শামিল হলো।

বিবৃতিতে জমিয়তের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে উত্থাপিত মামলায় অকাট্য প্রমাণ ও প্রামাণ্য নথিপত্রের ভিত্তিতেই রায় দিতে হয়। অথচ রায়ে আদালাত এসব অপরিহার্য শর্তের ধার ধরলো না।

কারণ, এ যাবত পর্যন্ত কেউ এমন কোন অকাট্য প্রমাণ হাজির করতে পারেনি যে, মসজিদের জায়গায় কোন কালে মন্দির ছিল এবং সেই মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।

হিন্দুত্ববাদিদের আবেগকে বিবেচনায় নিয়ে পাঁচ শত বছরের পুরাতন মসজিদের জায়গার মালিকানাকে পরিবর্তনের রায় দিয়ে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত, এটা অচিন্তনীয়।

এতে প্রমাণ হয়, ভারতের উচ্চ আদালতও এখন ন্যায় বিচার নয়, বরং হিন্দুত্ববাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগীর ভূমিকায় নেমেছে। আমরা আসামের এনআরসি প্রসঙ্গেও ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এমন বিতর্কিত রায় লক্ষ্য করেছি।

জমিয়ত নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ইসলামী শরীয়ত মতে মসজিদ স্থানান্তরের কোন সুযোগ নেই। আর প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় অধিকার নির্বিঘ্ন রাখা ও নিরাপত্তা দেয়া ভারতীয় সংবিধান মতে রাষ্ট্রের কর্তব্য।

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বেআইনীভাবে জায়গার মালিকানা বদলের সাথে সংবিধান কর্তৃক ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার অঙ্গিকারকেও মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে।

তারা বলেন, আমরা এই রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি এবং এই রায় প্রত্যাহার করে যথাস্থানে মসজিদ বহাল রেখে মুসলমানদের সার্বিক নিরাপত্তা ও ধর্মীয় অধিকারের সুরক্ষা দিতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ভারত সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

অন্যথায় মুসলমানদের ন্যায্য ধর্মীয় অধিকার, মানবাধিকার ও ন্যায় বিচার লাভের অধিকার প্রতিষ্ঠার তীব্র আন্দোলনে সকল অন্যায়, আগ্রাসী তৎপরতা ও সাম্প্রদায়িক হিংসার বিষবাষ্পের দেয়াল ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ